নিউজ ডেস্কঃ পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শামসুল হক (৪০) নামের মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কে আসামি করে বিঞ্জ আদালতে পিটিশন মামলা করেছে ভুক্তভোগী।
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল বিঞ্জ আদালতে গত মঙ্গলবার (৩১ মে মামলা করা হয়। মামলার বাদী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালি ইউনিয়নের বাজিতা তৃতীয় খন্ড গ্রামের মো,হাকিম ব্যাপারীর মেয়ে।
খোজনিয়ে জানা যায়,ঐ ভুক্তভুগী পটুয়াখালী জেলার সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
উক্ত মামলায় উপজেলার মাধবখালি ইউনিয়নের সৌজলিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে ও মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শামসুল হকসহ অজ্ঞাত আরো ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আইনজীবী জানান, পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মোঃ মাইনুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে আগামী তদন্ত করে ৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এব্যপারে মামলা সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এক সন্তানের জনক শামসুল হক বাজিতা তৃতীয় খণ্ড গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (২৩)এক বছর যাবৎ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজি না হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে নালিশ করেন। নালিশের জেরে গত বুধবার (২৫ মে) সকাল ৯ টায় ভুক্তভোগীর ভাইকে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পেয়ে শামসুল হকসহ আরে দু-তিনজনে মারধর করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তিনদিন পরে শনিবার (২৮ মে) বিকেলে অভিযোগের বিষয় খোঁজখবর নিতে থানায় যান । সেখান থেকে ফেরার পথে ঘটনার দিন রাত ৮ টায় বাজিটা চতুর্থ খন্ড এলাকায় শামসুল হকসহ আরো দু-তিনজন পথ রোধ করে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে জোর জবরদস্তি করে পরনের কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলে টেনে হিচরে রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় ধস্তাধস্তিতে মুখের গামছা সরে গেলে ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে শামসুল হকসহ তারা পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী জানান, এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত শামসুল হকের মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে প্রতিনিধির ফোনটি কেটে দেন।
এ নিয়ে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না আপনাদের কাছেই শুনলাম।
উল্লেখ্যেঃ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক সূজন দাস বলেন, অফিসিয়াল ভাবে মামলাটি পেয়েছি। তবে মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।সরেজমিন তদন্ত করে যথাসময়েই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।