জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিনেমা হলের স্টাফদের সংঘর্ষ • আহত ৪ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান।
জবি প্রতিনিধি :
|
নিউজ ডেস্কঃ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরান ঢাকার চিত্রা মহল সিনেমা হলের স্টাফদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাওয়া সিনেমার শো চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সিটে বসাবসি নিয়ে ও সামনে দিয়ে বারবার যাওয়া আসা করার জন্য হলের স্টাফদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্টাফরা শিক্ষার্থীদের মারধোর করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বন্ধুরা খবর পেয়ে সেখানে গেলে স্টাফদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে চিত্রা মহল হলের ম্যানেজার মোঃ ইকবাল ইউসুফ ও কোতোয়ালী থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, এগারো ব্যাচের দেলোয়ার হোসেন, নিলয় চন্দ্র বালা এবং ইতিহাস বিভাগের ১৩তম ব্যাচের রুবেল হোসেনসহ কয়েকজন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, সাড়ে তিনটার হাওয়া সিনেমা শো দেখতে ৩টা ১০ মিনিটের সময় চিত্রা মহল হলে যাই। আমাদের টিকিট আগে থেকেই কেটে রাখা ছিল। এর পর আমরা হলের দ্বিতীয় তলায় বসি। হাওয়া সিনেমা শো শুরু হওয়ার কিছু ক্ষন পরে দর্শকদের সামনে দিয়ে হলের স্টাফ রমজান সিট নিয়ে বার বার যাওয়া করতেছিল। বার বার সামনে দিয়ে না যাওয়ার জন্য আমরা নিষেধ করি। তারা আমাদের বলে তোরা কারা আমরা বলি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তখন তারা আমাদের সাথে কথা কাটা কাটি করতে করতে আমাদের উপর হামলা করে বসে। দ্বিতীয় তলায় থেকে নিচ তলায় আসলে সেখানেও বেধর মারপিট করে আমাদের। আমার হাত ব্যাথা করতেছে মনে হচ্ছে হাড় ভেঙে গেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি এর বিচার চাই। আমরা কোন অন্যায় না করার পরও আমাদের উপর হামলা করেছে তারা। সংঘর্ষের সাথে জড়িত স্টাফ দের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকে হলে পাওয়া যায়নি। পরে কোতোয়ালী থানার পুলিশ, হলের ম্যানেজার ও ছাত্রলীগের কর্মী মোঃ রিফাত শেখ, মোঃ মেহেদী হাসান মুন ও মিনুন মাহফুজের মধ্যস্থতায় ভুক্তভোগীদের চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের আর কোন অভিযোগ নেই বলে লিখিত সাক্ষ্য দেন। এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এবিষয়ে কোন পক্ষ এখনো অভিযোগ দেয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। |