বারবার মোবাইল কোর্টের প্রতিবাদে কুয়াকাটায় খাবার হোটেল বন্ধের ঘোষণা!! বিপাকে পর্যটকরা।।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া।
|
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় খাবার হোটেলে বারবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাবার হোটেল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতি। মঙ্গলবার রাত ১০টায় কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মুন্সি এ ঘোষণা দেন।
হঠাৎ খাবার হোটেল বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছে কুয়াকাটা আগত পর্যটকরা। বুধবার কুয়াকাটার খাবার হোটেল বন্ধ থাকায় পর্যটকরা পাঁচ কিলোমিটার দূরে মৎস্যবন্দর আলীপুরে ভিড় জমায়। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় আলীপুরের খাবার হোটেলগুলো আগত পর্যটকদের খাবার সরবরাহ করতে পারেনি।
আলীপুর খাবার হোটেলে কথা হয় পর্যটক মুনতাসিব রহমানের সাথে তিনি বলেন, সকালে নাস্তা খাবার জন্য বের হয়ে দেখি কুয়াকাটার সমস্ত হোটেল বন্ধ। তাই এখানে এসেছি। কিন্তু এখানে ছোট্ট হোটেলে প্রচুর ভিড়, হোটেল কর্তৃপক্ষ ঠিকভাবে খাবার সরবরাহ করতে পারছেন না। হটাৎ এভাবে হোটেল বন্ধ করায় পর্যটকরা বিপাকে পড়েছে।
কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিমুল্লাহ বলেন, আমরা কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সেবা দেয়ার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা করছি। করোনা ভাইরাসের মহামারীর সময় কুয়াকাটা যখন পর্যটক কম ছিল তখনও কিন্তু আমরা হোটেলে খোলা রেখেছি পর্যটকদের সেবা দেওয়ার জন্য। তখন আমাদের লোকসান হয়েছে। এখন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটা পর্যটক আসতে শুরু করেছে আমরাও ব্যবসা আলোর মুখ দেখছি। কিন্তু এখন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার নামে আমাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে প্রশাসন। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে আমরা হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সংগঠনের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতিদিন নির্বাহী মাজিস্ট্রেট কর্তৃক খাবার হেটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। কিন্তু একই হোটেলে একাধিকবার জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্টের নামে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাই সকল হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
সভাপতি সেলিম বলেন, গত ১১ আগস্ট আল-মদিনা নামের একটি হোটেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তখন ওই হোটেল মালিক তার সমস্যা সমাধানের জন্য ১৫দিন সময় নেয়। কিন্তু আজকে ১৬ আগস্ট আবার ওই হোটেলেই ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হোটেল মালিক জরিমানা না দিতে পারায় তাঁকে কিছুক্ষণ আটক করে রাখা হয়। তিনি আরও বলেন, খাবার হোটেল বন্ধে পর্যটকরা বড় ধরনের সমস্যায় পরার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আশা করবো প্রশাসন আমাদের বিষয়টি সহজ করে দেখলে আমরা হোটেল খুলে দিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো.শহীদুল হক জানান, কুয়াকাটায় পর্যটকদের নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। হোটেল মালিক সমিতিকে হোটেল খোলার অনুরোধ করছি। তাদের কোন কথা থাকলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আলোচনা করা যেতে পারে।
|