পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগের সভাপতি ১০ জন পদপ্রার্থী জনজরীপে শীর্ষে আব্দুল্লাহ।
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
|
নিউজ ডেস্কঃ পটুয়াখালী জেলা ছাত্রীলীগের নতুন কমিটি গঠনের শীর্ষ পদের জন্য যারা লড়ছে তাদের মধ্যে জনজরীপে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ। এমনটাই গুনজন চলছে সর্বত্র।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এর পরথেকে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদের জন্য আলোচনার শীর্ষে চলে আসে আব্দুল্লাহ।
আব্দুলাহ পটুয়াখালী সদর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের বজলু তালুকদারের সন্তান ও মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ছাত্র।
জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির বিষয় আব্দুল্লাহ বলেন, ছাত্রীলীগ নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ক্লীন ইমেজ থাকাটা অবশ্যই জরুরী। সকলের মনে রাখা উচিত ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটি সংগঠন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমি তার আদর্শের সৈনিক। তিনি আরো বলেন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমার পিতৃতুল্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর চাচা সহ অঙ্গ সংগঠনে সকল নেতাদের স্নেহধন্য হয়েছিল। দলের প্রয়োজনে কোন দিন রাজপথ ছাড়িনি। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অভিভাবক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। সদ্য বিলুপ্তি হওয়া কমিটির আগের কমিটির জেলা ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রলীগের কল্যানে কাজ করেছি। শুধু তাই নয় বিশ্ব মহামারি করনা সংকট কালিন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছি।
নেতৃত্বশূন্যর বিষয় আব্দুল্লাহ বলেন, অভিভাবক ছাড়া কিছুটা এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ। ইতিমধ্যে নতুন কমিটির শীর্ষ পদ প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে সোস্য্যল মিডিয়া সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গুরুতর অপরাধ প্রকাশিত হয়েছে। যা আমাদের সকলকে ব্যথিতো করেছে।
গত ১৫ জানুয়ারী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে আগামী ১০ কার্য্য দিবসের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের জন্য সকল প্রার্থীদের সিভি জামা দিতে হবে। তাদের মধ্যে সভাপতি প্রার্থী মেহেদী হাসান কোয়েল,সবুর খান,ফয়জুল হক মুনসেফ, হৃদায় কুমার আশিষ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজি আলমগীর বলেন, নেতৃত্বশূন্য থাকাটা ঠিক এতে করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে।এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের উচিত একটি ভালো কমিটি গঠন করা। যাতে করে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বশূন্যর অবসান ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
|