কুয়াকাটা সৈকতে বৈরি আবহাওয়ার প্রভাব।।কমছে পর্যটক, ব্যাবসায় মন্দা।।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া।
|
কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। টানা বর্ষন এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাব পরেছে পটুয়াখালীর সাগরকণ্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। গত এক সপ্তাহ ধরে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করায় সৈকতে কমছে পর্যটক। অগ্রিম বুকিং দেয়া অনেক হোটেলের রুমও বাতিল করছেন অনেক পর্যটক। তবে আবহাওয়া ভালো হলে পর্যটকদের আগমন বাড়বে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। দূর্ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
শুক্রবার ছুটির দিন সকালে আবহাওয়া ভালো থাকলেও দুপুর থেকে অনবরত বৃষ্টির কারণে স্থানীয়সহ দূর থেকে আসা পর্যটক সংখ্যা কমেছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় পুরো সৈকতে অল্প সংখ্যক পর্যটকের বিচরণ। আগত পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির দিনে সমুদ্র উপভোগ করতেই কিছু পর্যটকদের কুয়াকাটা ভ্রমন। আবার অনেকে বৃষ্টির কারনে রুমেই অবস্থান করছে। হোটেল-মোটেল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ জুড়ে পর্যটকদের আগমন কমছে তাই বেশিরভাগ হোটেলে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ছে। যার ফলে বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারি অলস সময় পার করছে।
হোটেল পায়রা এন্ড মিনি চাইনিজ’র স্বত্বাধিকারীরা মো.রেজাউল করিম জানান,কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পর্যটক না থাকায় ব্যাবসায়িক মন্দা যাচ্ছে। আবহাওয়া ভালো হলে এ অবস্থা কাটিয়ে উঠবেন বলে জানান তিনি।
কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার রাব্বি জানান, কয়েকদিন যাবৎ পর্যটক কম হওয়ায় আমাদের আয়ও কম। আর বৃষ্টির কারনে আমরা বের হতে পারছি না। আবহাওয়া ভালো না হলে পর্যটকদের আগমন বাড়বে না বলে জানান তিনি।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট এবং ইলিশ পার্ক ও রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, গত সাত দিন যাবৎ বৈরি আবহাওয়ার কারনে পর্যটক কম। তাই অনেক অগ্রীম বুকিং হওয়া হোটেলও বাতিল করেছেন পর্যটকরা। আবার অনেক পর্যটক বুকিং পরিবর্তন করে আবহাওয়া ভালো হলে আসবে বলে জানান। তাই আসা করা যায় আবহাওয়া ঠিক হওয়ার সাথে সাথে পর্যটক বাড়বে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটক সংখ্যা কমেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে দূর্ঘটনা এড়াতে সমুদ্রের নামার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
|