ঘূর্নিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা।।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া
|
![]() কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। ঘূর্নিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা পরিষদ’র বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধি ও সিপিপি সদস্যদের নিয়ে এ প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান মহিব, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগন ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে,পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্নিঝড় সিত্রাং উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। রবিবার থেকে উপক‚লীয় এলাকায় টানা বর্ষন অব্যাহত রয়েছে। রবিবার থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় পটুয়াখালী জেলায় ৭৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এতে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। ঘূর্নিঝড় সিত্রাং সোমবার সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। তাই এটি উপক‚লীয় এলাকায় আঘাত হানার শংকায় পটুয়াখালীর পায়রা সহ দেশের সব বন্দরে ০৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় নদনদীর পানি ৩থেকে ৫ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে উপকূলের নদনদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির প্রভাবে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা অবস্থায় দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। উপকূলীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, উপজেলার ১৭৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট ও শুকনো খাবার মজুদ আছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা এবং জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থাকতে বলা হয়েছে।
|