বিদ্যালয়ের ময়লা কুড়িয়ে লাগানো আগুনে দগ্ধ শিক্ষার্থী মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার পথে।
মাহমুদ হাসান তাপস বরগুনা
|
নিউজ ডেস্কঃ বিদ্যালয়ের ময়লা কুড়িয়ে লাগানো আগুনে দগ্ধ শিক্ষার্থী মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার পথে। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে বিদ্যালয়ে জমে থাকা ময়লায় আগুন দেয়াতে গিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর শরীরে আগুনে দগ্ধ হয়ে যায়। এতে শিশুটির শরীরে ৯০ শতাংশ শরীর পুড়ে যায়। ব পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত শিশুটিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জানুয়ারী সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অগ্নিদগ্ধ শিশু ফারজানা (৮) ওই বিদ্যালয়ের দিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা ৮ নং ওয়ার্ডের ফারুক খানের মেয়ে।
জানাগেছে, ঘটনার সময় বিদ্যালয় ও আশেপাশে থেকে পুরাতন কাগজপত্র, ময়লা-আবর্জনায় ঝাড়ু দিতে বলে প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার। শিশু শিক্ষার্থী ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন একত্রিত করে বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনে গিয়ে ফারজানা আগুন দেয় ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরানোর সঙ্গে সঙ্গেই ফারজানার গায়ে আগুন লেগে যায়। আগুন তার পরিহিত পোষাকে লেগে যায় এতে ফারজানার পায়ের তালু এবং মুখ-মন্ডল ব্যতিত সারা শরীর আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় একজন দৌড়ে এসে ফারজানাকে নিয়ে পুকুরে ঝাপ দেয়। পরবর্তীতে অগ্নিদগ্ধ ফারজানা কে নিয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালামা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যালয়ের সামাজিক কর্মকান্ড হিসেবে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে জমে যাওয়া ময়লা আবর্জনা পলিথিন কুড়িয়ে পরিচ্ছন্ন করছিল। এক সময় তারা বিদ্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিদ্যালয় ছুটি হলে ফারজানা পরিত্যক্ত ভবনে গেলে তার গায়ে আগুন লেগে যায়। তবে কেন তিনি শিশুদের দিয়ে আবজর্না পরিস্কার করিয়ে আগুন ধরাতে বলেছেন তার সঠিক কোন জবাব তিনি দিতে পারেননি।
|