রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি কারাগারে।
কায়সার হামিদ মানিক,স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার।
|
![]() নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি সংগঠন জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শীর্ষ দুই নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবান বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার মৃধা আলম। মাসুকুর রহমান রনবীর সিলেটের শাহপরান এলাকার মৃত আব্দুর সাত্তারের ছেলে। আবুল বাশার মৃধা আলম মাদারীপুরের রাজৈর এলাকার মৃত আব্দুর রউফ মৃধার ছেলে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো.আব্দুল মজিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা করে র্যাব। সেই মামলায় তাদের আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদের পরবর্তী মামলার ধার্য তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। সোমবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার এক শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক স্থানে পৌঁছালে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক ৮ থেকে ১০ জন লোক দৌড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির পর ঘুমধুম ইউনিয়নের পাহাড় পাড়া সাকিনের ইয়াহিয়া গার্ডেন এলাকার একাশিয়া বাগান থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব। গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছে পাওয়া একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি শ্যুটারগান, তিনটি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও নগদ ৫৭ হাজার ২৪০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় গ্রেপ্তার দুজনের নাম উল্লেখসহ সাতজনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের এক সদস্য। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা জানান, র্যাবের অভিযানস্থল উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকায় হলেও অস্ত্র উদ্ধার এবং জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তারের ঘটনাস্থল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন। |