ফেসবুক আইডির পোস্ট নিয়ে বিড়ম্বনায় কাশিয়ানীবাসি।
আশরাফুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার:
|
![]() নিউজ ডেস্কঃ : ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে Posts নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ। মাদক, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিবাজ, ঘুসখোর, নারী কেলেঙ্কারি ইত্যাদি ইস্যু জড়িয়ে সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে মানহানি কর স্ট্যাটাস দেওয়া হচ্ছে ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে।
এছাড়াও পোস্ট করা হচ্ছে নানা ধরনের উস্কানি ও বিভ্রান্তিমূলক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। করা হচ্ছে কমেন্টস; যা নিয়ে উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
নামে-বেনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কাশিয়ানি উপজেলায় বসবাসরত বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার করে আসছে। ‘কাশিয়ানীতে হচ্ছেটা কি’, ‘অপরাধ তালাশ’, ‘লিটন চোরা’ ইত্যাদি নামের ফেসবুক আইডি থেকে এ ধরনের স্ট্যাটাস দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এ অপরাধ চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন নানা শ্রেণি ও-পেশার মানুষ।
এসবের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ও সচেতন মহল । আবার অনেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এর যেমন সহযোগিতা নিচ্ছেন তেমনি আবার থানার আশ্রয় নিচ্ছেন। তবুও প্রতিকার মিলছে না।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি এক ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে আমার নামে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল অডিও রেকর্ড পোস্ট করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমি চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ি। সামাজিকভাবে অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হই। এ ধরনের সাইবার অপরাধ চক্রকে আইনের আওতায় আনা হোক।
দৈনিক যুগান্তরের কাশিয়ানী উপজেলা প্রতিনিধি মো. লিয়াকত হোসেন লিংকন বলেন, ‘কাশিয়ানীতে হচ্ছেটা কি’ একটি ভুয়া আইডি খুলে কে বা কারা আমাকে নিয়ে নানা স্ট্যাটাস প্রকাশ করে যাচ্ছে। এতে আমি পেশাগত ও সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছি। আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কেন বা কী উদ্দেশ্যে এ ধরণের ক্ষতি করছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
কাশিয়ানী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘কাশিয়ানীতে হচ্ছেটা কি’ ও ‘অপরাধ তালাশ’ এই দুটি ফেসবুক আইডি থেকে কাশিয়ানীর পেশাদার সাংবাদিকদের হেয় করে আপত্তিকর লেখালেখি করা হচ্ছে। যাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে প্রতিহিংসা মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে যা ব্যক্তি রেষারেষিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকেও অশালীন ভাষায় আপত্তিকর লেখালেখি করা হচ্ছে। এসব অশ্লীল ও আপত্তিকর স্ট্যাটাস লেখালেখিতে সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
কাশিয়ানী রিপোর্টার ফোরামে সভাপতি মিল্টন খান বলেন, অপরাধ তালাশ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে ও আমার সংগঠনকে জড়িয়ে নানা কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর লেখা এবং স্ট্যাটাস দেওয়া হচ্ছে। এতে সামাজিকভাবে আমি ও আমার সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানার দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মাদ ফিরোজ আলম বলেন, সম্প্রতি নামে-বেনামে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে নানা ধরনের আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়া হচ্ছে। এমনকি আমাদের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় একাধিক লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে আইডিগুলো শনাক্তের চেষ্টা চলছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে উপজেলা প্রশাসনও অনেকটা বিব্রত। এসব ভুয়া ফেসবুক আইডি বন্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ফেসবুকে এ ধরনের আপত্তিকর, অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ লেখা পোস্ট করছেন, তাদের এ ধরনের কাজ না করার অনুরোধ করছি।
|