পটুয়াখালী’র রাঙ্গাবালীতে কচুরিপানায় গ্যাসে পাচঁটি মহিষের প্রান কেড়ে নিল।
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী /
|
নিউজ ডেস্কঃ পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চর শিবা চর কপালবেড়া গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন বুড়াগৌরাঙ্গো নদীতে রাখালের অসাবধানতার কারনে নদীতে থাকা কচুরিপানা গ্যাসে পরিনত হয়ে কেড়ে নিলো পাচঁটি মহিষের প্রাণ।
ঘটনা সূ্ত্রে জানা যায় গত ৩রা মে ২০২৩ইং তারিখ রোজ বুধবার বিকাল ৫টার সময় ১১০ টি মহিষের পাল কপাল ভেরা খালে পানি খেতে গেলে পাশে থাকা ফসলের জমিতে ২০/২৫ টি মহিষ পানি খেতে চলে যায়। ঐ খেতের মালিক খাদিজা বেগম(৩৫) মহিষ গুলো তারাতে মালেক মাতুব্বরকে বলেন মহিষগুলো খেত থেকে বের করে দিতে। মালেক মাতুব্বর হলেন কপাল ভেরা গ্রামের হানিফ মাতুব্বরের বড় ছেলে।এসময় মালেক মাতুব্বর মহিষ গুলো তাড়িয়ে দিলে মহিষগুলো কচুরিপানার খালে নেমে যায়।
ঘটনার ১৫-২০ মিনিট পর রাখাল নৌকা দিয়ে আসেন মহিষের খোঁজে। এসময় দেখা মেলে ৫টি মহিষ কচিরিপানার মধ্যে লাশ হয়ে ভাষছে।
তবে এবিষয় এলাকাবাসী বলেছেন, এই মহিষ গুলো আরো “দু” এক দিন আগে মারা যেতে পারে বলে ধারনা করা যায়।অসহায় খাদিজা বেগম ও মালেক মাতববরের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে বলে রাখালের দোষ এরানোর চেষ্টা করে এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসির।
এলাকাবাসি আরো বলে,১১০ টি মহিষের পাল রাখাল মাত্র দুইজন। তারা সব সময় মহিষ দিয়ে আমাদের ফসলের অনেক ক্ষতি করে।
রাখাল ও মহিষের মালিক রহিম বলে,পানি ও কচুরিপানার দুদিক থেকে চাপ থাকার
কারণে মহিষ গুলির মৃত্যু হয়েছে । তবে ঘটনার দিন যে মহিষ মারা গেছে তা বলতে পারিনা।আমি এই ঘটনার ছালে ছিলাম না।
এ বিষয়ে চর কাজল ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য, লিমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মহিষ মরাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে ফাসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে মহিষ মালিক পক্ষরা। তবে এলাকাবাসীর ধারণা এইঘটনার দিনে হয়তো এই মহিষ মারা যায়নি। তবে দুই একদিন আগে মারা গিয়েছে বলে আমাদের ধারণা। এই মহিষ মারা যাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে রাখালের উদাসীনতা ও পানির স্রোত এবং কচুরিপানার চাপের কারণে হয়তো মহিষগুলো মারা জেতে পারে। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান ও পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে যদি কেউ দোষী থাকে তাদের আইনের আওতায় এনে মুখোশ উম্মোচন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয় গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সোনিত কুমার গায়েন বলেন, এখনও কোন অভিযোগ পাইনি তবে মহিষের মালিক অভিযোগ দিলে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
|