ঘূর্নিঝড় ‘মোখার প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসগার,পায়রা বন্দরে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত।। সর্বোচ্চ সতর্ক উপজেলা প্রশাসন।।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া
|
![]() কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপক‚লীয় এলাকা কলাপাড়ায় ।
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা দেড় থেকে দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। উপক‚লীয় এলাকার অনেক স্থানে থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’ গত মধ্যরাতে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিনপশ্চিমে অবস্থান করছিলো। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এটি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। তাই পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সেই সাথে গভীর সমুদ্রে থাকা সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে সুপার সাইক্লোন মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটি।
এদিকে পূর্ণিমার জোঁ থাকায় সমূদ্র এবং নদনদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার সকাল থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে আসা কিছু সংখ্যক পর্যটক পরেছেন বিপাকে। কারণ মহিপুর থানা পুলিশ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা সৈকতে নামতে পারছেন না।
কলাপাড়া পৌর শহরের বাসিন্দা মোনাসেফ খান আজকের পত্রিকাকে জানান, কয়েকদিন ধরে অসহ্য গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছিল। আজ গুড়িগুড়ি বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার খবরে খুবই আতংকে আছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার খবরে কয়েকদিন পর্যন্ত রুম বুকিং হচ্ছেনা। পর্যটক সহ স্থানীয়দের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে হোটেলগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার খবরে ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্রে থাকা অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার আলীপুর-মহিপুর খাপড়াভাঙ্গা নদীতে অবস্থান নিয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে জানান, কুয়াকাটায় আগত পর্যটক সহ স্থানীয়দের নিরাপত্তায় কাছ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। টহল পুলিশ, সাদা পোশাক সহ মাইকিং করে পর্যটকদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান,ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতিমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার ১৭৭টি সাইক্লোন সেল্টার সহ মুজিব কিল্লাগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে নিরাপদ পানি এবং শুকনো খাবার পরিবেশনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
|