বরিশালের আকাশ গুমট, বৃষ্টি হতে পারে দুপুরে
নিজস্ব প্রতিবেদন বরিশাল।
|
![]() বরিশাল ডেস্কঃ দুদিন ধরে বরিশালে আকাশ মেঘলা। বিরাজ করছে গুমটভাব। এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। সবমিলয়ে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব দেখা যায়নি বরিশালে। তবে দুপুর থেকে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বরিশাল আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মাজাহারুল ইসলাম বলেন, মোখার প্রভাব এখনো বরিশালে পড়েনি। এর প্রভাবে আজ (রোববার) দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বরিশাল শহরে বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া খেপুপাড়া, পটুয়াখালী অঞ্চলে বেলা ১১টা থেকে হালকা বাতাসসহ বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা সকাল ৮টা নাগাদ কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। এটি কক্সবাজার থেকে উত্তর-মিয়ানমারের অগ্রভাগ অতিক্রম শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ এর গতিপথ অতিক্রম সম্পন্ন করবে। বর্তমানে এর গতিবেগ ১৯৫ থেকে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রয়েছে। এদিকে, মোখার প্রভাবে বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছোট-বড় সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক। বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মাছ ধরার নৌকা, যাত্রীবাহী ট্রলারসহ সবাইকে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫৪১টি আশ্রয়নকেন্দ্র, ৮৯৯ মেট্রিক টন চাল, ৯ লাখ নগদ টাকা, পাঁচ হাজার কম্বল, ১৩ বান্ডিল টিন, দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ১১টি কন্ট্রোল রুম, ১১টি মেডিকেল টিম ও সহযোগী ২০টি বেসরকারি সংস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৭০ হাজার ৫০০ মানুষ এবং ৫০ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে। |