নিউজ ডেস্কঃ পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টন শালিসি বৈঠকে হামলার অভিযোগ উঠেছে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকায় ঘটে ঘটনাটি। প্রতিপক্ষের লোকদের হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।
প্রকাশ্যে দলবদ্ধভাবে হামলা করে উল্টো লুটপাট ও মারধরের মামলা দিয়েছেন প্রতিপক্ষের নামে। এখন গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া ওই তিনটি পরিবার। মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়েও ভুগছেন চিকিৎসাহীনতায়।
বুধবার (২আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের অবিযোগ করে এমনটাই জানান ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা হলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সুজায়েত উল্লাহ মিয়া বাড়ির মৃত. সফিক উদ্দিনের ছেলে বাহার উদ্দিন, জহির উদ্দিন ও মহি উদ্দিন। অপরজন বাহারের ছেলে ইমন হোসেন রাব্বি।
শালিসি বৈঠকে হামলায় অভিযুক্ত শাহিন উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, জাকির হোসেন নিশান, তৌহিদুল ইসলাম, নাসির হোসেন ভুক্তভোগীদের ভাই ও চাচা। এছাড়া অভিযুক্তদের স্ত্রী ও জসিমের ছেলে নিরব হোসেনও হামলায় জড়িত ছিলেন।
মহি উদ্দিন বলেন, বাবা জীবিত থাকাকালিন ভাইদের মধ্যে মৌখিকভাবে জমি বন্টন করে দিয়েছেন। সে অনুযায়ী ভোগদখল করে আসছেন সবাই। হঠাৎ বাবা মারা যাওয়ায় বাধে যত বিপত্তি। জাকির ও তৌহিদুলরা বাবার সিদ্ধান্ত মানছেননা। এনিয়ে বিভিন্ন সময় গালমন্দ ও হুমকি-ধামকি দিয়েছেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাদের ইচ্ছানুযায়ী ও পছন্দের ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শালিসি বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত পক্ষে না যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জাকিররা। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা করে। হামলায় আমাদের মাথা ও শরিরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম হয়। তারা প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
বাহার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর একাধিকবার ছোট বোনের স্বামী ফারুক হোসেন বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ করেন। পুনরায় পারিবারিকভাবে সমস্যাগুলো মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়েছেন। ফারুককে মান্য করায় অতর্কিত এ হামলার বিচার চাইতে থানা কিংবা আদালতে যাইনি।
কিন্তু ঘটনার ৯ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) জাকির হোসেন আমাদের তিন ভাই ও স্ত্রীসহ পরিবারের ৮ সদস্যর নামে থানায় মামলা করেছেন। এখন গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িছাড়া আমরা। শুধু তাই নয়, হাসপাতালেও যেতে পারছি না পুলিশের ভয়ে।
মহি উদ্দিন জানান, হামলার পর মুমূর্ষ অবস্থায় তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তারা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এমন হিংস্র ঘটনার স্বীকার হয়েও উল্টো আসামি হয়েছেন মারধর, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট মামলার। অথচ এই মামলার কোন ভিত্তি নেই। মামলাটি হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। তবে নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় জাকির নামে এক ব্যক্তি থানায় মামলা করেছেন। এতে আহত, টাকা লুটপাটের বিষয়েও লিখা হয়। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ২৫