নিউজ ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের চরচামিতা এলাকায় স্বামীকে হত্যার দায়ে তাঁর স্ত্রী ইয়ানুর বেগমকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া স্ত্রী ইয়ানুরের প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রাজজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রায়ের সময় আবদুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত থাকলেও স্ত্রী ইয়ানুর বেগম পলাতক রয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার চরচামিতা এলাকায় আলমগীর হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ধানখেতে ফেলে রাখেন আসামিরা। পরের দিন সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ১৫ অক্টোবর চন্দ্রগঞ্জ থানায় আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ইয়ানুর বেগম ও প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা লাতু মিয়া। ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের পর থেকে ইয়ানুর বেগমের সঙ্গে প্রেমিক আবদুর রাজ্জাকের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই জেরে পরিকল্পিতভাবে ইয়ানুর বেগম ও আবদুর রাজ্জাক মিলে আলমগীর হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রায় আড়াই বছর পর আজ বুধবার এই রায় দেন আদালত। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিউকিটর মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, পরকীয়া প্রেমের জেরে আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় স্ত্রীর ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে ইয়ানুর বেগমের প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।