৪ হাজার বন্দি পালিয়ে গেছে হাইতির জেল ভেঙে
সাইদুল ইসলাম ইমু
|
নিউজ ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান দেশ হাইতির জেল ভেঙে একসঙ্গে পালিয়েছে ৪ হাজার বন্দি। দেশটির একটি সশস্ত্র গ্যাং রাজধানী পোর্ট-অব প্রিন্সের প্রধান কারাগারে হামলা চালিয়ে এসব দাগী বন্দিকে মুক্তি দেয়। গত দুইদিনে এ ঘটনা ঘটেছে। কারাগারে হামলার ঘটনায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের। আমেরিকার দরিদ্রতম দেশ হাইতিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতার মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। দেশটিতে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে একটি সশস্ত্র গ্যাং। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে গ্যাংটি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং রাজধানী পোর্ট-অব প্রিন্সের অন্তত ২০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ওই গ্যাংয়ের হাতে। সর্বশেষ সহিংসতার ঘটনা শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। এদিন হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরি কেনিয়ার নাইরোবিতে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গেলে সুযোগ পায় গ্যাংটি। স্থানীয় এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, রাজধানীর কারাগার ভেঙে প্রায় ৪ হাজার পুরুষ বন্দি পালিয়ে গেছে। বন্দিদের মধ্যে ২০২১ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে হত্যার সঙ্গে জড়িত গ্যাং সদস্যরা রয়েছে। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট মোয়েস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মূলত সহিংসতা বেশি মাত্রা পেয়েছে। গত জানুয়ারিতে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে হাইতিতেগ্যাং সহিংসতার শিকার হয়ে ৮ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অপহরণ ও হামলার শিকার হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এদিকে প্রেসিডেন্ট মোয়েস হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবর্তে এখন পর্যন্ত দেশটিতে নতুন কোনো প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাসীন হননি এবং ২০১৬ সালের পর থেকে দেশটিতে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে একটি চুক্তির আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার এবং অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হেনরির ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করার কথা ছিল, কিন্তু কোনোটিই ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রী হেনরি কেনিয়া সফরে যাওয়ার পরই রাজধানী পোর্ট-অব প্রিন্সে অস্থিরতা বেড়েছে এবং গ্যাং লিডার জিমি চেরিজিয়ার (ডাকনাম বারবিকিউ) প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সমন্বিত হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জিমি চেরিজিয়ার বলেন, আমরা সবাই, রাজধানীর সশস্ত্র দল এবং প্রাদেশিক শহরের সশস্ত্র গোষ্ঠী একত্রিত হয়েছি। |