পটুয়াখালীতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র হত্যা মামলায় কিশোর গ্যাং দুই সদস্য আটক, র্যাব-৮ এর সংবাদ সম্মেলন।
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
|
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় আলোচিত কিশোর গ্যাং কর্তৃক নিহত জিসান হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাইক বাপ্পি গ্রুপের প্রধান বাপ্পি এবং তার অন্যতম সহযোগী সদস্য মাহিনকে আটক করেছে র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক সোহেল রানার নেতৃত্ব তার সদস্যরা।
অদ্য ২৪ শে মার্চ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় পটুয়াখালী র্যাব-৮ ক্যাম্পের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৮ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল যুবায়ের আলম শোভন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চলতি মাসের ৮ তারিখ রাতে কিশোর গ্যং বাইক বাপ্পি গ্রুপের প্রধান বাপ্পি গলাচিপা উপজেলার দক্ষিন চর বিশ্বাসের বটতলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্যেশ্যে মোটরসাইকেল চালিয়ে ধুলো উড়িয়ে শোডাউন দিচ্ছলো। এমন সময় ওই এলাকার হাজী কেরামত আলী ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র জিসান তাকে থামিয়ে ধুলো না উড়ানোর জন্য অনুরোধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাপ্পি তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে জিসানকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহত জিসান কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে ১১ দিন চিকিৎসা শেষ জিসানকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। গত ১৯ মার্চ বাড়িতে বসে জিসান ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই রাতেই জিসানের বাবা মশিউর রহমান নান্নু বাপ্পি, মাহিন সহ কয়েকজনের নামে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা আমলে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার ভোলা জেলার দক্ষিন আইচা থানার করিম পাড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাপ্পিকে আটক করে এবং মাহিনকে বান্দরবান জেলার আর্মি পাড়া থেকে আটক করা হয়। আসামিদেরকে গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরো বলেন, কিশোর গ্যং-এর দৌরাত্ম ঠেকাতে র্যাব বদ্ধ পরিকর।
|