দেশের ২য় বৃহত্তম তাঁতপল্লী ২০ পায়নি বছরেও পূর্ণতা
সাইদুল ইসলাম ইমু
|
![]() নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ২০ বছরেও ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীর সফল বাস্তবায়ন হয়নি। বেনারসি তাঁতিদের জন্য তাঁত বোর্ড ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই বেনারসি পল্লীর প্রকল্প হাতে নেয়। পাঁচ একর জমির ওপর রয়েছে ৯০টি প্লট। পল্লীর বিশাল এলাকা এখন চাষাবাদের ফসলি জমি হয়ে উঠেছে। ফাঁকা জায়গায় বিকেলে চলে স্কুলগামী শিশুদের খেলাধুলা। তাঁতিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য থাকার সময় ঈশ্বরদীর বেনারসি শিল্পকে রক্ষায় এ প্রকল্প অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন। এরই প্রেক্ষিতে সরকার তাঁত বোর্ডের মাধ্যমে ২০০৪ সালে ফতেহমোহাম্মদপুরে একটি বেনারসি পল্লী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী ২০ বছর মেয়াদে এ পল্লী গড়ে তোলা হয়। ৫ একর জমির ওপর ৯০টি প্লট করে স্বল্পমূল্যে তা তাঁতিদের বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০৭ সালে বরাদ্দ নেওয়া জমিতে এ পর্যন্ত হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি কারখানা গড়ে উঠেছে ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৯০টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি ৩ শতাংশের ও ২০টি ৫ শতাংশের প্লট। বেশিরভাগ প্লট ব্যবহৃত না হওয়ায় পুরো পল্লী এখন আগাছায় পূর্ণ ও কিছু জায়গা চাষাবাদে ব্যাবহৃিত হচ্ছে, প্রকল্প এলাকায় মসজিদ ছাড়া অন্যান্য স্থাপনাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। এদিকে বিদেশি কাপড়ের ভিড়ে দিন দিন কমছে বেনারসি শাড়ির চাহিদা, সাথে কমেছে তাঁত ও কারিগরের সংখ্যাও। রোজা প্রায় শেষের দিকে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। অথচ এখনও বেচাকেনা জমে ওঠেনি বেনারসি পল্লীতে। কারিগরদের মাঝেও নেই ঈদের কর্মব্যস্ততা। একসময়ের প্রাণচাঞ্চলো বেনারসি পল্লীর কারিগররা এবার ঈদ মৌসুমেও অলস সময় পার করছেন। দফায় দফায় সুতার দাম বৃদ্ধি ও দেশের বাজারে ভারতীয় শাড়ি সয়লাব হওয়ায় এবার বেনারসি শাড়ির চাহিদা কমে গেছে বলে জানান তারা। তাই অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। |