গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নারী-শিশু নিহত
সাইদুল ইসলাম ইমু
|
নিউজ ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় প্রায় ছয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি যুদ্ধে ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। ৩ এপ্রিল, বুধবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই তথ্য জানিয়েছে। মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ২৪ হাজারের বেশি নারী-শিশুকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে মোট ১৪ হাজার ৫০০টি শিশু এবং ৯ হাজার ৫৬০ জন নারী ছিল। এছাড়া ৭ হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বা নিখোঁজ রয়েছে এবং ৭৫ হাজার ৫৭৭ জন আহত হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গাজায় যারা ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে তাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ এই ছিটমহলের ১৭ হাজার শিশু তাদের পিতামাতা বা উভয়ের একজনকে হারিয়েছে। গাজাবাসীর খাদ্যাভাবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মিডিয়া অফিস বলেছে, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে ইতোমধ্যেই ৩০ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে। বিবৃতিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ৪৮৪ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ১৪০ জন সাংবাদিক এবং ৬৫ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মীও নিহত হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ এবং বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন এমন আহতদের সংখ্যা ১১ হাজার এবং ১০ হাজার ক্যান্সার রোগী অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী ৩১০ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং ১২ জন সাংবাদিককে আটক করেছে। গাজায় প্রায় ৭০ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ২ লাখ ৯০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে উপত্যকার ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় গাজায় ২৯৭টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৯ টি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া তিনটি গির্জাও ধ্বংস হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় ৬ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে ৩২ হাজার ৯০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। |