সময় নিউজ বিডিঃ কবুতর পোষা নিয়ে যখন কথা উঠলো, তখন একটু বলাই ভালে।
দুজনের হাতে মোট চারটি কবুতর, তবে সামনের ছেলেটির সব কবুতল। তার অনেক দিনের নেশা, কবুতর পোষা। নিজের কাঠমিস্ত্রির কাজের অবসরে লালন-পালন করে কবুতরগুলোকে। আসলে নেশা ঠিক নয়, ভালোলাগা। মূলত ভালোভাগা থেকেই কবুতর পোষা তার। পাশের দুজন এলাকার বন্ধু। তারাও কবুতর উঠাতে ও হাটে কেনা বেচায় সাহায্য করে তাকে।
সেবছর রাজশাহীর একটি ব্যাংক কলোনীর মাঠে সকালে তাদের সাথে দেখা। হাতের কবুতরগুলো দেখতে ভালাই লাগছিলো। তাই তাদের সঙ্গে থাকাও হয়। কথার এক পর্যায়ে নিজের ও কবুতর পোষার বিষয়ে জানালো তারা। তাদের বলা হলো কবুতরগুলো কথাটা পিস (প্রতিটির দাম কত)। তারা তিনজেরা- নিজেদের দিকে তাকা-তাকি করে, মুচকি হিসেবে পাশের হলুদ গেঞ্জিপড়ুয়া ছেলেটি বললো। ‘এগুলো বিক্রি করি না। এড়া বাড়ির বুড়ো।’
তাহলে এই অনুষ্ঠানে কেনো? তখন তারা বললো প্রতিবছর এখানে ক্রিকেট খেলা হয়। এই খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবুতর লাগে। আমাদের বাড়ি মাঠের প্রাচীরের ধরেই। আমরা খেলা দেখতে আসি। তবে এবছর একটু ভিন্ন উদ্দেশ্যে আছে তাদের। কথায় কথায় সেই উদ্দেশ্যের কথা শুনলাম, তাদের মুখে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়তো বা ছেলেগুলোকে ডাকা হয়েছে এমন মনে হতেই পারে। তা মোটেও নয়, বরং পোষা কবুতরদের ভাড়া দিতে। কবুতরগুলো শুধু উদ্বোধনী অতিথিরা উড়াবেন। এমন চুক্তিতে তিনজন এনেছেন চারটি কবুতর।
কবুতরের মালিকদের দাবি- ‘মাঠের পাশের তাদের বাড়ি। আর এই এলাকায় কবুতরগুলো সব সময় উড়ে। তাই পালানো বা হারানোর কোন সম্ভাবনা নেই।’
তাদের বলা হলো- অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বাইরে থেকে কবুতর নিয়ে আসলে, কিনে আনতো। সেই ক্ষেত্রে টাকা লাগতো। আর তোমাদের থেকে কি হিসেবে নেওয়া হয়েছে? এমন কথার উত্তরে তারা জানান, ‘মনে হয় ১৫০-২০০ টাকা দেবে। এছাড়া পরিচিত বড় ভাই তো।’
তারা জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা তারা কবুতর উড়ায়। তারা কবুতরগুলো নেয়। এতো বড় বড় মানুষগুলো আমার কবুতরগুলো উড়াচ্ছে। আমারও অনেক ভালো লাগে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৯