খেজুর গুড় বিক্রি করে লাখপতি বাঘার রাতুল।
ইসরাত জাহান কনিকাঃ- রাজশাহী
|
সময় নিউজ বিডিঃ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ‘সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ’। যেখানে অনেক শিক্ষত বেকার যুবক যুবতী অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলছেন। আবার অনেকে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করে নিজের ক্যারিয়ারসহ আনেকের কর্মসংস্থানও তৈরি করছেন। এমনই একজন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ এলাকার রাতুল সরকার। যিনি গাজিপুর ভাওয়াল কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেছেন। কারো পেছনে না ছুটে পড়াশোনা শেষ করে স্বাধীন পেশা হিসেবে অনলাইন বিজনেস বেছে নিয়েছেন রাতুল। কোনো রকম পুঁজি ছাড়াই ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। আর ব্যবসা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অনলাইনে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেছে করেছেন। তার মধ্যে শুধুমাত্র গুড়ই বিক্রি করেছেন ৪ লাখ টাকার। জানা গেছে, বর্তমান জনপ্রিয় মাধ্যম ‘সমাজিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে রাতুল ২০২০ সালের ১১ ই জুলাই Ratul’s World নামে একটি অনলাইন পেজ খুলেন। বিনা পুঁজি অনলাইন পেজের ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন। শুরুতে নকশিকাঁথা, মাটির তৈজসপত্র, আচার, নাড়ু ইত্যাদি ছিলো। এরপর যুক্ত হয়েছে শাড়ি, খাঁটি মধু, কাপল সেট ইত্যাদি পন্য। আর শীতকাল আসার পর গুড় নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তিনি। নিজ এলাকার খাঁটি গুড় এলাকার চাষীদের থেকে সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করতে থাকেন তিনি। উপজেলার প্রায় ৩০-৩২ টি বাড়ি থেকে ভাড়া করা ভ্যানে বিভিন্ন জায়গা থেকে গুড় সংগ্রহ করেন তিনি। আর গুড়ের গুনাগত মান ঠিক আছে কিনা তা জানতে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন রাতুল। চিনি, ফিটিকিরি, ইত্যাদি কোনো ধরনের ক্যামিক্যাল ছাড়া একদম খাঁটি গুড় সংগ্রহ করতে সকালে সাইকেলে করে বাডি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন এবং ভেজাল মুক্ত গুড় সংগ্রহ করেন তিনি। আর এতে করেই তার এই গুড় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গত এক মাসে ১৩০ জনের উর্ধে ক্রেতা হয়েছেন। পূণরায় ক্রেতা হয়েছেন আরো অনেকেই। গুড় বিক্রি করেছেন প্রায় ২৫০০ কেজি। আবার অনেক পাইকাররাও গুড় নিচ্ছেন তার থেকে। এখন গড়ে প্রতিদিন ২০০-৩০০ কেজি গুড় দেশের বিভিন্ন জায়গায় কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন তিনি। পন্য নিয়ে সামান্য সন্দেহ হলে ব্যাক দিতে পারবে। তারপর পুনরায় পাঠানো হবে। এইভাবে গ্যারান্টি দিয়ে খাঁটি গুড় সাধারন মানুষের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন রাতুল। এনিয়ে রাতুল জনিয়েছেন, বর্তমানে দেশে একটা চাকুরি পাওয়া জটিল হয়ে উঠেছে। আর বিশেষ করে রাজশাহীতে তো কর্মসংস্থানের তেমন কোন ব্যবস্থা নাই বললেই চলে। আর করোনার পরে তা আরো জটিল হয়ে উঠেছে। আর নিজেরও ইচ্ছে ছিল না কারো অধিনে কাজ করবো। তাই পড়াশোনা শেষ করে স্বাধীন পেশা হিসেবে অনলাইন বিজনেস বেছে নিয়েছি। চাকুরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করেছি। আর ব্যবসা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অনলাইনে বেশ ভালোই পণ্য বিক্রি করেছে করেছি। প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো। তার মধ্যে শুধুমাত্র গুড়ই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকার। আগামীতে আরো গুনাগত মান বজায় রেখে আরো পণ্য বিক্রি করা হবে বলেও তিনি জানান। |