পিডিবির ২৪ লাখ টাকার পাম্প ক্রয় করেন ৩ কোটি টাকায়!!
|
সময় নিউজ বিডিঃ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) শিকলবাহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২৪ লাখ টাকার একটি পাম্প কেনায় দুই কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা খরচের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর (দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২) দায়ের করা মামলায় পিডিবির প্রকৌশলীসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় অবস্থিত শিকলবাহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য একটি পাম্প কেনা হয়। দুদক অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে ওই পাম্পটি ক্রয়ে অভিযুক্তরা বাজারমূল্য থেকে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে দুই কোটি ৫৯ লাখ এক হাজার ৯৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাম্প কেনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ মামলার আসামিরা হলেন মেসার্স পাওয়ার টেক ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল আলীম, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৎকালীন ব্যবস্থাপক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ভুবন বিজয় দত্ত, পিডিবির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবু ইউসুফ, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক (নির্বাহী প্রকৌশলী) মিজানুর রহমান, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড ও রাজশাহী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) এ এইচ এম কামাল, নকশা ও পরিদর্শন পরিদফতর-১ এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তোফাজ্জেল হোসেন। দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুই কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এলসির বিপরীতে একটি বৈদ্যুতিক মোটরপাম্প কেনে। দুদকের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে, পাম্পটির প্রকৃত বাজারমূল্য ২৪ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৭ টাকা। অবশিষ্ট টাকায় আসামিরা অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। |