সময় নিউজ বিডিঃ  নানান আয়োজনের মাধ্যমে পটুয়াখালীতে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।

এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দান বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গোটা বাঙালীর স্বাধীনতার মূলমন্ত্র বজ্রকন্ঠে জাতির সামনে ঘোষণা করেছিলে। ৭  ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার  চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা। এরপরই  মুক্তিকামী বাঙালিরা  লড়াইয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পরে তার নেতৃত্বের বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান বিজয়।

ইউনেস্কো ভাষণটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ইতোমধ্যেই ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভূক্ত করেছে।

পটুয়াখালীতে যথাযথ মর্যাদায় ও নানান আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ।দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। পরবর্তীতে ডিসি স্কয়ারে মুজিবশতবর্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির পিতার আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে শতকণ্ঠে ৭ই মার্চের ভাষণ পাঠ করা হয়। ভাষণ পাঠ শেষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী  জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম, পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,
পটুয়াখালী জেলা  আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক  ভিপি আব্দুল মান্নান,  পটুয়াখালী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম সরোয়ার, পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক ও সাংবাদিকবৃন্দ সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।