‘রিজেন্ট-জেকেজিকেও হার মানিয়েছে হাইপোথাইরয়েড সেন্টার’
|
গত ৩ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া একজন চিকিৎসকের নামে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছিল ঢাকার শ্যামলীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। প্রতিষ্ঠানটির এমন প্রতারণা রিজেন্ট কিংবা জেকেজিকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। আজ শনিবার দুপুরে হাইপোথাইরয়েড সেন্টার নামে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে দুই কর্মচারীকে দুই বছর করে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্টে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে শনিবার সকালে শ্যামলীতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে অসংখ্য রিপোর্ট পাওয়া যায় করোনায় মৃত চিকিৎসক অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের নামে সই করা। এই চিকিৎসক গত ৩ মে করোনায় মারা গেছেন। এ ছাড়া অধ্যাপক ডা. মঞ্জুর হাসানের স্বাক্ষর দেওয়া অসংখ্য ব্ল্যাংক রিপোর্টও পাওয়া গেছে। সারোয়ার আলম বলেন, হাইপোথাইরয়েড সেন্টার হার মানিয়েছে রিজেন্ট কিংবা জেকেজিকেও। ১০ বছর ধরে ল্যাব পরিচালনা করছে হাইপোথাইরয়েড সেন্টার। সেখানে থাইরয়েডের নানা রিপোর্টসহ হেপাটাইটিস ও ব্লাড কালচারসহ নানান পরীক্ষা হতো। অথচ সেই ল্যাবের বেহাল দশা। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন রিপোর্টে ব্যবহার করা হতো নামি-দামি চিকিৎসকের নাম। এ ছাড়া অভিযানে মিলেছে চিকিৎসকের সই করা অসংখ্য ভুয়া রিপোর্ট। প্রতিষ্ঠানটি প্যাথলজির রিপোর্ট দিতো করোনায় মৃত অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের সইয়ে। অক্টোবরেও তার নাম ও সই ব্যবহার করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। অথচ এই চিকিৎসক করোনায় প্রাণ হারান মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে র্যাব। পাশাপাশি খোঁজা হচ্ছে মালিক বাকেরকে। সেইসঙ্গে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে সন্ধী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। |