চালকে পিছনে ফেলে ছুটছে চিনি
ইসরাত জাহান কনিকাঃ-
|
সময় নিউজ বিডিঃ বেসামাল অবস্থায় রয়েছে রংপুরের নিত্যপণ্যের বাজার। বেশ কয়েকমাস ধরেই বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম ওঠানামা করছে। চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ভোজ্যতেল ও মুরগির সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার। এছাড়া বাড়তির দিকে চিনির দাম। সরেজমিনে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, চালের বাজারে কিছুটা লাগাম রয়েছে। গত সপ্তাহের দরেই মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৮-৬০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৫ টাকা, বি-আর-২৮ ৫০-৫২ টাকা, বিআর-২৯ কেজিপ্রতি ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৪৩-৪৪ টাকা, গুটিস্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৪-৪৫ টাকা ও চিনিগুড়া ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস ধরে লাগামহীভাবে চালের দাম ওঠানামা করছে। কখনো কেজিপ্রতি ৫-৮ টাকা বেশি, কখনও আবার ২-১ টাকা কমছে। মাঝে চালের দাম চড়া থাকলেও এখন কিছুটা স্থীর রয়েছে। সিটি বাজারে চাল কিনতে আসা সুমন হোসেন বলেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা মধ্যবিত্তরা চরম বিপদে পড়েছি। পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে বেশি দামে জিনিস কিনতে হচ্ছে। বাজার স্বাভাবিক থাকলে পরিবারের খরচ চালাতে সুবিধা হয়। এদিকে চালের বাজারে কিছুটা লাগাম টানলেও তেলের বাজারে অস্থিরতা চলছেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ সপ্তাহে কোম্পানিভেদে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৩৫-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৩৫-১৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী বলে জানান কামাল কাছনা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হালিম মিয়া। ব্রয়লার মুরগি আগের দামে ১৫০-১৬০ টাকা থাকলেও দেশি মুরগি ৪২০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩২০-৩৩০ টাকা ও পাকিস্তানি লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে গোটা কয়েক মসলার দাম। জিরা ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, লং ৩০ টাকা বেড়ে ৮৫০ টাকা, দারচিনি ২০ টাকা বেড়ে ২৯০, ধনিয়া ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকাসহ প্রকারভেদে সবধরনের মসলার দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মুলাটোল আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী ভুট্টু মিয়া। এছাড়াও নিত্যপণ্য আটা ৩০-৩৫ টাকা, ময়দা ৪০-৪৫ টাকা, মসুর ডাল (মোটা) ৭০ টাকা, চিকন মসুর ১০০-১১০ টাকা যা গত সপ্তাহের দরেই রয়েছে বলে জানান স্টেশন ব্যবসায়ী আবেদ আলী। তিনি আরও জানান, চিনির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি প্যাকেট চিনি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা। আর খোলা চিনি পাইকারি বাজারে ৬৫ এবং খুচরা বাজারে ৬৮-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ডিমে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে বলে জানান, সিটি বাজারের ডিম ব্যবসায়ী তোফায়েল ইসলাম। শনিবার ফার্মের মুরগির ডিম প্রতিহালি ২৮ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির ডিম ৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার গত সপ্তাহের দরেই রয়েছে বলে জানান টার্মিনাল ও মূলাটোল আমতলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবুও বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা তেমন ভালো নেই। মাহিগঞ্জ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আকবার আলী জানান, কার্টিনাল আলু ১৪-১৫ টাকা, শিল আলু ২০-২২ টাকা, ঝাউ আলু ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০-১৫ টাকা, ফুলকপি ১২-১৬ টাকা, বাঁধাকপি ৫ টাকা, শিম ২০ টাকা, বেগুন ১০-১৫ টাকা, পেঁপে ২০-৩০ টাকা, টমেটো ৮-১০ টাকা, গাজর ৮ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মটরশুটি ২০-২৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ১০-১৫ টাকা, কাঁচাকলা ২০-২৫ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, সজনে ১০০-১২০ টাকা, স্কোয়াস ১৫-২০ টাকা, ব্রকলি ২০ টাকা, করলা ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, লালশাক ১২টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা ও ধনেপাতা ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। |