বরগুনায় অপহরণের ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী, আদালতে ধর্ষণ মামলা
|
রগুনার আমতলীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করেছেন তার বাবা। অপহরণের ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি ওই স্কুলছাত্রী।
এদিকে থানায় মামলা না নেয়ায় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান বুধবার মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চাওড়া গ্রামের আবদুল হক হাওলাদারের ছেলে রাসেল, সুলতান জোমাদ্দারের ছেলে স্বপন ও রাসেলের সহযোগী অহেদ মাঝির ছেলে নুর হোসেন।
জানা যায়, ১৪ বছরের ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত রাসেল। রাসেলের ভগ্নিপতির কাছে বাদী অভিযোগ দিলে তারা বাদীর মেয়েকে রাসেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে বলে। বাদী তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় ওই স্কুলছাত্রী প্রতিবেশী আবুল হাওলাদারের বাড়ি থেকে আসার পথে ওই তিনজন দুইটি মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বাদী অনেক স্থানে খোঁজেও তার মেয়েকে পায়নি। ২৮ অক্টোবর নুর হোসেন মেয়ের মা তামান্না আক্তারকে জানায় তার মেয়ে তাদের কাছে আছে। ওই দিন মেয়ের পরিবার রাসেলের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়েকে চাইলে তারা দেয়নি। তারা বলে কিছুদিন পর ফেরত দেয়া হবে। মেয়ের বাবা মানসম্মানের কথা চিন্তা করে কাউকে বলেননি।
মেয়ের বাবা বলেন, মেয়েকে না পেয়ে ৫ নভেম্বর আমতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেয়।
তিনি আরও বলেন, রাসেল অন্য দুইজনের সহায়তায় আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে কোথাও আটক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করছে। দীর্ঘ ১৬ দিনেও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারিনি।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ব্যাপারে আমতলী থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে এলে আমি অবশ্যই মামলা নিতাম। |