১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার……..সেতুমন্ত্রী
এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
|
সময় নিউজ বিডিঃ ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন দেয়ার জন্য সরকার ভাবছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না। তাই করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। এমতাবস্থায় সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা দলের পক্ষে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। সরকারি সহায়তা তৃণমূলেও পৌঁছে গেছে। আর বিএনপি দরজা-জানালা বন্ধ করে লিপ সার্ভিস দিচ্ছে এবং কাল্পনিক অভিযোগ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে লন্ডনের নেতৃত্বকে খুশি করতে এবং কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে আইসোলেশনে থেকে হাঁক-ডাক ছাড়ছে বিএনপি। তাদের এসব হুমকি আষাঢ়ের গর্জন। এখন নিজেদের রাজনীতিকে জনগণের দ্বারপ্রান্ত থেকে তুলে নিয়ে আবাসিক রূপ নিয়েছে বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যখন কোনো ইস্যু সামনে আসে তা নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করে। বিএনপির মনে রাখা উচিত, পরাশ্রয়ী আন্দোলন এবং গোপন ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আরোহণের দিন শেষ হয়ে গেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। আর জনগণের আস্থাই শেখ হাসিনা সরকারের মূল শক্তি। জনগণ ভালো করেই জানে বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই দেশ আবারো অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া।
হেফাজতের তাণ্ডবের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে বা ধর্মকে ঢাল বানিয়ে জনগণের সম্পদ বিনষ্টের অপচেষ্টা আর সহ্য করা হবে না। এদেশের মুসলমানরা কোনো অপশক্তি বা ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে তাদের ধর্ম বিশ্বাস ইজারা দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, কতিপয় স্বার্থান্বেষী এবং উচ্চবিলাসী লোকের স্বপ্নপূরণে দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো অপপ্রয়াস জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর হস্তে দমন করবে সরকার।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ডি-৮ এর আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগ ও জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। এ অর্জন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের স্বীকৃতি। এ অর্জন দেশের মানুষের অর্জন।
|