লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ৭০ টি বিদ্যালয় চালু হচ্ছে
এস এম আওলাদ হোসেন, রায়পুর,লক্ষ্মীপুরঃ
|
সময় নিউজ বিডিঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য ৭০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থাগ্রস্থ ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে জরীপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বেসরকারী এনজিও ডরপের সহযোগীতায় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার আক্তার জাহান সাথী, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একে এম মোস্তাক আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একে এম সাইফুল হক, ডরপের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবদুল মালেক প্রমুখ। জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় জেলার সদর, রায়পুর এবং রামগঞ্জ উপজেলার ঝরে পড়া ৮-১৪ বছরের শিশুর জন্য প্রতি উপজেলায় ৭০ টি করে ৪২ মাস এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলবে। তিনি আরো বলেন, অভিভাবকদের দারিদ্রতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, শিশুশ্রম ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। আবার অনেকে বিভিন্ন কারনে স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝড়ে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। এতে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী বলেন, ‘ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র ও শিক্ষক নির্বাচন এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে শতভাগ সততা নিশ্চিত করতে হবে।এর বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে শিক্ষার মান উন্নত হবে। আমি শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগীতা চাই। |