চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে ব্যবসায়ীর হাতে সরকারি কর্মকর্তা হেনস্ত! থানায় জিডি
চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
|
সময় নিউজ বিডিঃ চাঁদপুরের ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন রুবেলকে ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলাকালীন হেনস্তা করেছেন জনৈক এক আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি ফরিদগঞ্জের ১২নং চরদুখিঃয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান।
১৮ই আগস্ট বুধবার দুপুর ২ টায় বিরামপুর বাজারে অভিযানকালে মিজানুর রহমান এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এদিকে সরকারী কাজে বাঁধা দেওয়ার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি করেছেন জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন রুবেল। তিনি উর্দ্ধতনের নির্দেশে এমন ঘটনার দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবী করে থানায় মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন রুবেল বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে সঙ্গীয় ফোর্সসহ আমরা বিরামপুর বাজারে অভিযান চালাই। তখন মূল্য তালিকা না থাকায় বাজারের সবচেয়ে বড় মুদী দোকানীকে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করি। আর এতেই আমাদের ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন ঐ দোকানের মালিক মিজানুর রহমান।
নুর হোসেন রুবেল আরও বলেন, ক্ষীপ্ত ওই ব্যাক্তি মিজানুর রহমান নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আমাদের গালমন্দসহ হেনস্তা করে। পরে তার ছেলে এসে জরিমানার অর্থ দিলে আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি এবং আইনগত পদক্ষেপ নেই।
অভিযান প্রসঙ্গে নুর হোসেন রুবেল বলেন, এদিনে আমরা অভিযান চালিয়ে ১টি ঔষুধের দোকানসহ মোট ৭টি দোকানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরের আইন অমান্যের অভিযোগে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছি। এর আগে ঈদের কয়েকদিন পূর্বেও ওই দোকানিকে আমরা ভোক্তা অধিদপ্তরের আইন সম্পর্কে সচেতন করেছি।
এদিকে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কত দেখলাম? আমরা আওয়ামীলীগ করি, এই সব করে কিছুই হইবো না’। দুই দিন পর পর ভোক্তা অধিদপ্তরের লোক এবং ম্যাজিস্ট্রেট দুনিয়ার সব বাদ দিয়ে শুধু বিরামপুর বাজারে এসেই একটা তাবেদারী শুরু করে। কিছু দিন আগেও এই ভোক্তা অধিদপ্তরের লোক এখানে এসে জরিমানা করছে। কয় টাকা বেচাকেনা করি? এরমধ্যে আজ আবার এসে উৎপাত করায় আমার মেজাজ গরম হওয়ায় তাদের সাথে তর্কাতর্কি করেছি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শহীদ হোসেন বলেন, মেম্বার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় প্রসঙ্গে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শিউলি হরি বলেন, জনস্বার্থে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সরকারি কাজে মেম্বারের বাধা দেওয়া মোটেও ঠিক হয়নি। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করবো
|