প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নৌকার পক্ষের লোকজন ভোটারদের প্রভাবিত করতে স্থানীয় উত্তর চর পাগলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে যান। এ সময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিঙ্কুর গাড়িসহ তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের আরও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আতিক আহমেদ জানান, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় ২০ মিনিট ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মধ্য চরপাগলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,তোরাবগঞ্জ ইসলাম পাড়া আনসার আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে রামগতির পোড়াগাছার কোডেক কলোনীর নোমানাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রেও সংঘর্ষ হয়। এসময় ৫জন আহত হয়। একই উপজেলার চররমিজ ইউপির উত্তর পূর্ব চর আফজাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,আজাদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও চররমিজ দক্ষিন পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা,পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে আরো ১০জন আহত হয়। আহতদের রামগতি,কমলনগর ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া চরবাদাম,হাজিরহাট ও চরফলকন ইউপির কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
তবে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ, প্রতিটি ইউপির ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কা সিল মারা অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া পথে পথে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা ও মারধর করা হয়।
এ দিকে তোরাবগঞ্জ ইউপির আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমদ রতন অভিযোগ করে বলেন,পুলিশ,প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে নৌকা মার্কা সিল মারে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হয়নি। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে জালভোট দিতে বাধা দেয়ায় কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। এছাড়া আমার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে ২০জন গুরুতর আহত হয়।
তবে নৌকার প্রার্থী মির্জা আশ্রাফুল জামাল রাসেলের দাবী, বিনা উস্কানীতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রতনের লোকজন নৌকা সমর্থকদের ওপর অতকির্ত হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
একই অভিযোগ করে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসা ভোটার রহিম উদ্দিন,বিলবিছ বেগম,ছালামত উল্যাহসহ অনেকে বলেন, প্রকাশ্য নৌকা মার্কা সিল মারতে হয়। প্রচন্দের কোন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। এটি কোন ভোট নয়,যেন জাল ও কেন্দ্র দখলের মহাসৎসব চলছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মধ্য চরপাগলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবদুল কুদ্দুস জানান, , অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন হচ্ছে। বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কমলনগর ও রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন ও সোলাইমান উদ্দিন জানান, কয়েকটি কেন্দ্রে বিক্ষপ্তভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসব বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।