নিউজ ডেস্কঃ অন্তঃসত্ত্বার সিজারিয়ান অপারেশন পর নবজাতক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি হচ্ছে । শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে নবজাতকের সুরক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
মচিমহায় সফল সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হচ্ছে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা,শেরপুর ছাড়াও বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাঈল ও গাজিপুরের শ্রীপুর থেকে আসা বৃহদাংশ গর্ভবতী মায়ের । মচিমহায় আসা রোগীর স্বজনদের কোনো টাকাপয়সা খরচ করতে হচ্ছে না শিশু বিভাগে। মায়েরা জন্মদানের পর নবজাতক অর্থাৎ বাচ্চারা সুস্থ্যতা হচ্ছে শতভাগ ।
জানা যায়, সন্তান জন্মদান সত্যিই একটি আনন্দের মুহূর্ত। দীর্ঘ ৯ বা ১০ মাস অপেক্ষার পর গর্ভের সন্তান দেখতে পাওয়া আর স্পর্শ করতে পারার আনন্দ অতুলনীয়। অন্তঃসত্ত্বার সবচেয়ে বড় ভয় প্রসবকালীন ব্যাথা। এই ব্যথা থেকে রেহাই পেতে অনেকে নিজ থেকেই সিজারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সিজারে শিশু ভূমিষ্টের পর নবজাতক নিয়ে চিন্তায় পরেন । সেই চিন্তা থেকে পরিত্রাণ দিচ্ছেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ডাক্তার ও স্টাফগণ ।
অপরদিকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি অর্থাৎ প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোও ব্যাপক প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে । জানা গেছে, ময়মনসিংহে ১২০ থেকে ১৪৫ টি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রতিদিন সিজারিয়ান অপারেশন হচ্ছে। এরমধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন নবজাতক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নবজাতবক শিশু বিভাগে ভর্তি হচ্ছে । বাকীরা ক্লিনিক থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি যাচ্ছে । অপরদিকে ময়মনসিংহ বিভাগ এবং সুনামগঞ্জের হাওড় অঞ্চলের গর্ভবতী মা এবং নবজাতক সরকারি মচিমহায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। সূত্র জানায়, স্যানিটারি ন্যাপকিন ছাড়া উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ঔষধ মচিমহা থেকে নিয়মিত সরবরাহ করা হয় । হাসপাতালে বেড সুবিধার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াসহ সার্বিক সুবিধা থাকায় অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রোগীরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসমপাতালের ওপর নির্ভর করেন ।
প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান সকল সুবিধা থাকায় মা সুস্থ্য থাকেন আবার নবজাতক ঝুঁকির মুখে পড়লে রেফার্ড করা হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে । শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সহযোগী ডাক্তার , নার্স এবং স্টাফগণ আন্তরিক থাকায় শিশুরা অনেক বেশি সুস্থ, সবল হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা: নজরুল ইসলাম জানান,ময়মনসিংহ প্রাইভেট ক্লিনিক গুলিতে প্রতিদিন গড়ে কত জন শিশু জন্ম হচ্ছে তা আমার জানা নেই। তবে আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে তালিকা করা প্রয়োজন।
মচিমহার শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা নবজাতক শিশুদের চিকিৎসা প্রদান করা। ডাক্তারদের সুচিকিৎসায় নবজাতক শিশুরা ফিরে পাচ্ছে নতুন জীবন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৯