কলাপড়ায় মসজিদের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৬।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া।
|
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মসজিদের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আনোয়ার মল্লিক (৩৮) ও আবু সালেহ নামের দুই জনকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মহিপুর থানার ধুলাসার ইউপির গঙ্গামতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, প্রায় এক মাস আগে ওই এলাকার আবদুল আলীমের বাড়িতে আশেখালি জামে মসজিদের চাঁদা তুলতে যায় স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি জসিম, সম্পাদক আয়ূবআলী ও ছলেমান বিশ্বাসসহ আরো ২০ থেকে ২৫ জন। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এবং এক পর্যায় তারা আবদুল আলীম ও তার স্ত্রী জয়নব বিবিকে মারধর করে। এনমকি টাকার পরীবর্তে ওই বাড়ি থেকে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল খুলে নিয়ে যায় চাঁদা আদায়কারীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করে আনোয়ার মল্লিক। এরই জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুয়াকাটা যাওয়ার পথে আনোয়ার ও আবু সালেহর সাথে বাকবিতন্ডা হয় প্রতিপক্ষের ব্যাক্তিদের সাথে। তারা ২জন থাকায় তাদের
উপর হামলা চালায় জুলহাস, নজরুল ও ইব্রাহিমসহ ২০/২৫ জন। এসময় তাদের দেশীয় অস্ত্র ও বিদ্যুতের মোটা তার দিয়ে পিটিয়ে সারা শরীরে জখম করা হয়। তাদের বাঁচাতে স্থানীয় শাহআলম মুসুল্লী, বেল্লালসহ আরো চারজন এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটুনি দেয় হামলাকারীরা।
স্থানীয় গৃহবধূ হাওয়া বেগম জানান, ৭ রমজানে তার বাড়িতে প্রবেশ করে মসজিদের চাঁদা আদায়কারী দলের সদস্যরা। তাদের দুইশো টাকা দিলেও টাকা কম হওয়ায় তার ঘরে থাকা পানির কলসি নিয়ে যায় তারা। তিনি বলেন রমজান মাসে আমার কলসি বিহিন খুব কষ্ট হয়েছে।
গঙ্গামতি ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, এমনভাবে কোন মানুষ হয়ে অন্য মানুষকে নির্যাতন করতে পারে আমি আগে দেখিনি। যারা মারধর করেছে তারা শালিশ বিচার মানে না।
এবিষয়ে ওই মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব আলীর মোবাইল ফোনে কলদিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। অপর অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম বলেন, এটা সম্পুর্ন সাজানো ঘটনা। আমি এর সাথে সম্পৃক্ত নই।
মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, এঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
|