কলাপাড়ায় ইউপি নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া।
|
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমশ: উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গ্রামীন জনপদ। এতে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। গত ক’দিনে ধূলাসার ইউপি নির্বাচনে নৌকা কর্মী সমর্থকদের হামলায় ১ স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ বেশ ক’জন জখম হয়েছে। ইউপি নির্বাচন পূর্ব সহিংসতার একটি মামলা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত এবং অপর একটি মামলায় কলাপাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জখমীর মেডিকেল সনদ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া লতাচাপলি ইউনিয়নে নৌকা সমর্থকরা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পোষ্টার পুড়িয়ে ফেলা সহ তার সমর্থকদের হুমকী এবং ধূলাসার ইউনিয়নে প্রচার কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ করেছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ।
এর আগে অভিযোগ উঠে ধূলাসার ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোটর সাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: ইয়াকুব আলীকে প্রচারনায় বাঁধা প্রদান সহ তাকে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেয় নৌকা কর্মী সমর্থকরা। এ নিয়ে তিনি বাদী হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। এছাড়া অটো রিকশা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহরিয়ার সবুজ’র উঠান বৈঠকে যোগ দেয়ায় ২৮ মে রাত ১০টায় ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজারে রাসেল মাতুব্বরকে নৌকা সমর্থক ইনু মৃধা’র নেতৃত্বে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ রয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া সহ তাকে হত্যা চেষ্টা চালায় নৌকা সমর্থকরা।
ধূলাসার ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মোড়কে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহরিয়ার সবুজ বলেন, ’আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর সহ নির্বাচনী প্রচারনার কাজে বাঁধা প্রদান ও হুমকী দিচ্ছে নৌকা সমর্থক তরিকুল মৃধা, ইনু মৃধা ও হাবিব মৃধা। এ নিয়ে মামলা সহ ইসিকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো: মোদাচ্ছের হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় শান্তিপূর্ন পরিবেশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
লতাচাপলি ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মোড়কে আনারস প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল আলম বলেন, ’আমার নির্বাচনী পোষ্টার খাঁজুরা এলাকায় পুড়িয়ে ফেলেছে নৌকা সমর্থকরা। এছাড়া আমার প্রচার কাজে অংশগ্রহনকারীদের হুমকী প্রদান করা হচ্ছে।’ তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো: আনছার মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আ: রশিদ বলেন, ’লতাচাপলি ইউনিয়নে চরমোনাই সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো: মোসলেম মুসুল্লীর পক্ষে আচরন বিধি ভঙ্গ করে রঙীন কাপড় ব্যবহার করে প্রতীক প্রদর্শন করার অভিযোগে প্রার্থী কে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া ধূলাসারে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএম মেহেদী হাসান (প্রিন্স) তার নির্বাচনী প্রচারনায় বাঁধা প্রদানের অভিযোগ করেছেন নৌকা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যা মহিপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে কমিশন থেকে।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৫জুন ইভিএম পদ্ধতিতে মেয়াদ উত্তীর্ন লতাচাপলি ও ধূলাসার ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ক্রমশ: শঙ্কা বাড়ছে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে।
|