নিউজ ডেস্কঃ পটুয়াখালীতে এক কলেজে আবেদনপত্র অসম্পূর্ন, কলেজ অধ্যক্ষের অনাপত্তিপত্রের স্বাক্ষর নিয়ে রয়েছে ব্যপক অভিযোগ।
এরপরেও বাছাই প্রক্রিয়ায় আবেদনপত্র গ্রহনের জন্য সোচ্চার একটি মহল। উক্ত ঘটনার ব্যপারে কলেজ অধ্যক্ষ বলছেন, নিয়মের বাইরে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। পটুয়াখালীর হাজী মোক্তার আলী মৃধা ডিগ্রি কলেজের উপ-অধ্যক্ষ (ভাইস-প্রিন্সিপাল) নিয়োগ নিয়ে এমন জটিলতায় উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন কলেজ শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ সদস্যসহ সচেতন অবিভাবক মহল।
উক্ত কলেজ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলার সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের হাজী মোক্তার আলী মৃধা ডিগ্রি কলেজের উপ-অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর ৬জন আগ্রহী আবেদনপত্র জমা দেয়। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আইয়ুব আলীর উপস্থিতিতে (গত ২৯ জানুয়ারী) আবেদনপত্র বাছাই কমিটির আহবায়ক কলেজ অধ্যক্ষ কামররুল আহসান, সদস্য মজিবুর রহমান, মো. আ. ছালাম, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ চারটি আবেদন যথোপযুক্ত হওয়ায় গ্রহন করেন। অপর আবেদনকারী সুবিদখালী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা’র মূল আবেদনে স্বাক্ষর না থাকায় এবং একই কলেজের শামীম রেজাসহ উভয়ের আবেদপত্রে সংযুক্ত সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষের স্বাক্ষর সঠিক নয় এমন অভিযোগ ওঠে।
এ ব্যপারে হাজী মোক্তার আলী মৃধা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক হারুন অর রশিদ, মো. আ. জলিল ও হাবিবুর রহমান বলেন, আবেদনপত্র বাছাই কমিটির সদস্যসহ পরিচালনা পর্ষদের কতিপয় সদস্য তাদের পছন্দের এক প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। নিয়োগ বোর্ডের উপর অনৈতিক চাপসহ পুরো প্রক্রিয়াকে বির্তকিত করার চেস্টা করছেন। তারা আরো বলেন, জাকিয়া সুলতানা ও শামীম রেজার আবেদনের সাথে সংযুক্তি সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল রহিয়াছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-অধ্যক্ষ পদের আবেদনকারী সুবিদখালী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা বলেন, তার আবেদনে কোন ক্রটি ছিলনা।
হাজী মোক্তার আলী মৃধা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আহসান বলেন, জাকিয়া সুলতানা ও শামীম রেজার আবেদন উচ্চতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রাখা হয়েছে। নিয়ম বর্হিভূত কোন কিছু করার সুযোগ নেই এখানে। সচ্ছতার মাধ্যমে যোগ্য উপ-অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।