গাজা যুদ্ধ: ইফতার পার্টি বয়কট করবে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সংগঠন
সাইদুল ইসলাম ইমু
|
নিউজ ডেস্ক: গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের কারণে অস্ট্রেলিয়ার দুটি রাজ্য সরকারের ইফতার পার্টি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম সংগঠনগুলো। প্রায় ৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল (এএনআইসি) এবং ইসলামিক কাউন্সিল অব ভিক্টোরিয়া (আইসিভি) জানিয়েছে, তারা গাজার যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার কারণে সরকারি ইফতার পার্টি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ লেবার পার্টির নেতা। এছাড়া ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যেও লেবার পার্টি ক্ষমতায় রয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান অস্ট্রেলিয়াকে আইসিভি জানিয়েছে, ভিক্টোরিয়া প্রিমিয়ার (সরকার প্রধান) হিসাবে জ্যাসিন্টা অ্যালানের প্রথম ইফতার পার্টি গাজাবাসীর দুর্ভোগের কারণে বাতিল করা উচিত। গাজার শিশুরা মারাত্মক খাদ্য সংকটের কারণে পশু এবং পাখির খাদ্য খেতে বাধ্য হচ্ছে। অবরুদ্ধ এই ছিটমহলে ইসরায়েলের চলমান অবরোধের কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আইসিভির প্রেসিডেন্ট আদেল সালমান বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে এই সময়ে এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ঠিক হবে না। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে এই মুহুর্তে লেবার পার্টির প্রতি সব স্তরের মানুষের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।’ এএনআইসি এর মুখপাত্র নিউ সাউথ ওয়েলসের (এনএসডব্লিউ) সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তার সংগঠন আশা করে প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্সের সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ স্বীকার করবে। মিন্স এর আগে ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশ এবং তাদের জন্য পুলিশের যে ব্যয় হয় তার সমালোচনা করেছেন। তিনি গত অক্টোবরে ইসরায়েলের সমর্থনে সিডনি অপেরা হাউসের পালগুলো আলোকিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এদিকে মুসলিম সংগঠনগুলোর বয়কটের কারণে বার্ষিক ইফতার পার্টি বাতিল করেছে ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজ্য সরকার। অস্ট্রেলিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তঃসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে রাজনীতিবিদ, মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা, সমস্ত ধর্মের ধর্মীয় গুরুরা অংশগ্রহণ করতেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু ছিল। এরই মধ্যে গাজার রাফায় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। উল্লেখ্য, গাজার যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ইসরায়েলকে সমর্থন করছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং জানুয়ারিতে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের প্রমাণ স্বীকার করে না। |