ইহুদি বসতি নির্মাণের দাবিতে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলের উগ্রপন্থীদের মিছিল
সাইদুল ইসলাম ইমু
|
নিউজ ডেস্ক: ইসরায়েলি উগ্র ডানপন্থীদের একটি দল গাজা উপত্যকায় ইহুদি বসতি স্থাপনের দাবিতে গাজা সীমান্তে মিছিল করে এর অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে। অবরুদ্ধ এই ছিটমহলে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। কয়েক ডজন উগ্র ডানপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের একটি দল ২৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলের সিদেরত শহরে জড়ো হয়েছিল। তারা একটি গাড়িবহরে করে গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে ইরেজ সীমান্ত ক্রসিং এর কাছে পৌঁছে যায়। তারা গাজা উপত্যকায় অবৈধ বসতি পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার একটি ইসরায়েলি সেনা চেকপয়েন্ট ভেঙে গাজায় প্রবেশ করে। ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) হস্তক্ষেপের আগে অনেকেই দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কিছু অংশে ঢুকে পড়ে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরেজ ক্রসিংয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে। চরমপন্থীরা আইডিএফের একটি চেকপয়েন্ট সহিংসভাবে ভেঙে ফেলে। ডানপন্থী এই দলটির সদস্যদের কাছে ছিল কমলা রঙের ফিতা। এটি ইসরায়েলের চরম ডানপন্থী ‘রিটার্ন’ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি রঙ। এই আন্দোলনের লক্ষ্য গাজার অবৈধ গুশ কাতিফ বসতি পুনরুদ্ধার করা। ২০০৫ সালে অবরুদ্ধ এই ছিটমহল থেকে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ইসরায়েল। এদিকে রিটার্ন আন্দোলনের একজন সদস্য মেচি ফেন্দেল তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে বলেছেন, ৫০০ ইহুদি পরিবার গাজা পুনরুদ্ধার করতে স্বেচ্ছায় এসেছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা বলেছে, ইসরায়েল তখনই নিরাপদ থাকবে, যখন গাজার ভেতরে ইহুদি বসতি প্রতিষ্ঠিত হবে। ফেন্দেল আরও বলেছেন, গাজায় ইহুদি বসতি পুনর্নির্মাণ না হলে এই অঞ্চলটি আবার হামাসের ঘাঁটিতে পরিণত হবে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শেষ হলেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইহুদি বসতি পুনর্নির্মাণ করতে হবে। কারণ এটি তাদের ভূমি। |