বেইলি রোডে আগুন: নামাজে জানাজায় শোকাহত মানুষের ঢল
কায়সার হামিদ মানিক, কক্সবাজার।
|
নিউজ ডেস্কঃ ঢাকার বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা যান কাস্টমস কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন। তিনদিনের ছুটিতে সপরিবারে খাগড়াছড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেখানে আর যাওয়া হয়নি। বেইলি রোডের আগুনে লাশ হয়ে ফিরে গেছেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা এলাকায় নিজ গ্রামে। সেখানে চির শায়িত করা হয়েছে শাহ জালাল উদ্দিন, স্ত্রী মেহেরুন নিসা ও চার বছরের কন্যা ফাইরুজ কাশেম জামিরাকে। রবিবার (৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। সেখানে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। শাহজালাল উদ্দিন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে। ৩৭ বছর বয়সি শাহজালাল ছাড়া নিহতরা হলেন- তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী এবং তাদের চার বছর বয়সি মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিরা জানাজা পূর্বে তাদের আলোকিত জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন শাহ জালালের বাবা আবুল কাশেম, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, উখিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসসহ স্থানীয় আওয়ামী ও পরিবারের সদস্যরা। বেইলি রোডের আগুনে নিহত শাহজালাল উদ্দিন, স্ত্রী মেহেরুন নিসা ও মেয়ে ফাইরুজের নামাজে জানাজায় অংশ নেয় শত শত গ্রামবাসী। রবিবার সকালে মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। এর আগে সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে তাদের এক নজরে দেখতে ছুটে আসেন হাজারও মানুষ। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে চলে স্বজনদের আহাজারি। শনিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহজালালের স্ত্রী মেহেরুন নিসার গ্রামের বাড়ি রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে পৌঁছায় তাদের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। তাদের মরদেহ কক্সবাজার পৌঁছার পর সেখানে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই রাত সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় শাহজালালের গ্রামের বাড়ি উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালংয়ে। কাস্টমস ইন্সপেক্টর শাহ জালাল উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলার পানগাঁও কাস্টমস অফিসে কর্মরত ছিলেন। টানা তিনদিনের ছুটি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে খাগড়াছড়ি ভ্রমণের কথা ছিল তার। কিন্তু বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে গিয়ে তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। |