ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটিসহ আজ স্থানীয় সরকারের মোট ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ শুরু
মোঃ ফয়জুল আলম
|
নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলছে ময়মনসিংহ সিটিতেও। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা বাড়ে উপস্থিতি। সকাল সাড়ে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই সিটির কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অনেকটা নিরুত্তাপভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
সকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর উর রহমান তানিম তার নির্বাচনী এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন। সাংবাদিকদের তানিম বলেন, অনেক কেন্দ্রের সামনে তার কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। প্রত্যেকটা কেন্দ্রের মোড়ে মোড়ে বাস প্রতীকের লোকজন ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না। ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটিসহ আজ স্থানীয় সরকারের মোট ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ এবং কুমিল্লা সিটিতে মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন ছাড়াও তিনটি পৌরসভার সাধারণ ও বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদসহ নানা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শূন্য পদে নির্বাচন হচ্ছে।
এছাড়া ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন, ৭টি জেলা পরিষদের উপনির্বাচনসহ ১৮৭টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্য পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুটি রিজার্ভ টিম থাকবে। এছাড়া নিয়োজিত থাকবে র্যাবের ২৭টি টিম এবং ১২ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ২২ জনের ফোর্স অন্য স্থানীয় নির্বাচনের কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৭ জনের ফোর্স। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ সদস্য। ময়মনসিংহ সিটিতে ১২৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও ভোটের এলাকায় নিয়োজিত থাকছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম। ৩৩টি ওয়ার্ডে থাকছে র্যাবের ১৭টি টিম ও বিজিবি থাকবে ৭ প্লাটুন। এই সিটি নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ রেজাউল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবশ্য বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটু স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২টি রিজার্ভ টিম থাকছে। এছাড়া নিয়োজিত থাকছে র্যাবের ২৭টি টিম ও বিজিবি ১২ প্লাটুন। এই সিটি নির্বাচনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী- তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দু’জন। দুই সিটি নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ কেন্দ্রে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর ১৬ জনের ফোর্স ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকছে। অন্যদিকে পৌরসভাগুলোতে ১২ থেকে ১৪ জনের ও ইউপির নির্বাচনগুলোতে ২২ জনের ফোর্স নিয়োজিত করেছে ইসি।
|