৮০ শতাংশ পুরুষ ‘কাবিন বাণিজ্যের’ বলি
|
সময় নিউজ বিডিঃ বিয়ের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ বাঙালি পুরুষ ‘কাবিন বাণিজ্যের’ বলি হচ্ছে বলে মন্তব্য এসেছে ঢাকার এক মানববন্ধন থেকে। এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিয়ের নিবন্ধন পদ্ধতি ডিজিটাল করার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএমআরএফ)। সংগঠনটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা প্রকৌশলী মাজহারুল মান্নান মিয়া বলেন, কাবিনের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ পুরুষ বাণিজ্যের বলি হচ্ছে। দেশ-বিদেশে সবখানেই এমন ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, খারাপ পরিবারগুলো মোটা অঙ্কের কাবিন নির্ধারণ করে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে। কিছু দিন পরই পরিবারের কথা মতো স্বামীকে তালাক দিয়ে সাজানো কাবিনের টাকা দাবি করছে মেয়ে। ‘পরবর্তীতে পরিকল্পনা অনুযায়ী আবারো সম্পদশালী পাত্র দেখে মেয়ের বিয়ে দেয় পরিবার, সেখানেও অনেক ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটে। এমন প্রবণতা দিনকে দিন বাড়ায় তা ব্যবসায় রূপ নিয়েছে।’ নিজের ও স্বজনদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে জার্মান প্রবাসী মাজহারুল বলেন, কনে স্বেচ্ছায় তালাক দিলে যাতে কাবিনের টাকা দাবি করতে না পারে, অবিলম্বে এমন একটি আইন করার দাবি জানাচ্ছি আমরা। এটি হলে অনেক পুরুষ কাবিন বাণিজ্য থেকে রক্ষা পাবে। বিএমআরএফের চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম বলেন, বিয়ের নামে কাবিন বাণিজ্যের মাধ্যমে এক শ্রেণির নারীরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে পুরুষরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এ জন্য নতুন আইনের দাবি করে তিনি বলেন, কনে স্বেচ্ছায় তালাক দিলে স্বামীর কাছে কাবিনের টাকা দাবি করতে পারবে না। উল্টো স্ত্রী তালাক দিলে ক্ষতিপূরণ কাবিনের সমপরিমাণ টাকা স্বামীকে দিতে হবে। এটি করা গেলে দুষ্টু নারীদের কাবিন ব্যবসা বন্ধ হবে। ‘এক শ্রেণির নারী বিয়ের তথ্য গোপন করে কুমারী সেজে বিবাহ বাণিজ্য করছে। এমন বহুবিবাহের কারণে এক নারীর দ্বারা অনেক পুরুষ প্রতারিত হচ্ছে। এমন প্রতারণা বন্ধে বিবাহ নিবন্ধন পদ্ধতি ডিজিটাল করার দাবি জানাচ্ছি।’ এ মানববন্ধনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান সাহেল ও সংগঠনটির সদস্য মো. মহিউদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |