সময় নিউজ বিডিঃ বাবার কাছে যেতে চাওয়ায় এক পাষন্ড মায়ের মারধরে নিহত হয় মেয়ে সুচি। আদালতে জবানবন্দিতে পাষন্ড মা স্বীকারোক্তিতে এ তথ্য জানায়।
জন্মের পর থেকে মায়ের কোলে বেশি ঠাঁই হয়নি ছয় বছর বয়সী শিশু সুচির।বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ায় দাদির কাছেই বড় হচ্ছিল সে। তবে মাঝেমধ্যে মা নিজের কাছে নিয়ে যেতেন তাকে। বাবার কাছে চলে যেতে চাওয়ায় মেয়েকে মারধর করেন মা।
এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাকে আর বাঁচনো যায়নি। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মা চম্পাকে ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজ আল আসাদের আদালতে হাজির করলে শিশুটিকে মারধরের কথা স্বীকার করেন তিনি। আগের দিন সোমবার গোয়েন্দা পুলিশ চম্পাকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় শিশুটির বাবা জামালপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী চম্পা, তার মা ও বাবাকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আট বছর আগে সাইফুল ইসলাম আড়ালিয়া গ্রামের চম্পা খাতুনকে বিয়ে করেন। কিন্তু গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেন সাইফুল। জন্মের পর ছয় মাস থেকে দাদির কাছে বড় হচ্ছিল শিশু সুচি। মাসখানেক আগে চম্পা নতুন ঠিকানা বগুড়া শহরের ঘুণ্টিবাড়ি এলাকায় নিয়ে যায় সুচিকে। কিন্তু শিশুটি শুধু বাবার কাছে ফিরতে কান্নাকাটি করত। এক ট্রাক চালকের সঙ্গে বাবার কাছে চলে যেতে চাইলে তাকে মারধর করেন মা। মারধরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন রাতে মৃত্যু হয় সুচির। কিন্তু হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে ভয়ে বাড়িতে না ফিরে মুক্তাগাছায় মসজিদের পাশে রেখে চলে যান মা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে মুক্তাগাছা পৌরসভার পাড়াটঙ্গী এলাকার একটি মসজিদের পাশে কম্বল মোড়ানো শিশু সুচির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে তাকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১৩