করোনাভাইরাসের ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ সংক্রমণের চূড়ায় রাজশাহী।
ইসরাত জাহান কনিকাঃ- রাজশাহী
|
সময় নিউজ বিডিঃ- রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের পিক (চূড়া) অবস্থান করছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেলায় এখন প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে গড়ে ৪০ শতাংশ নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলছে। আপাতত এটিই সর্বোচ্চ সংক্রমণ বলে ধরে নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কা এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যে অবস্থা দেখলাম, তাতে মনে হচ্ছে রাজশাহীতে এখন সংক্রমণের পিক চলছে। কয়েকদিনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ। এর বেশি হচ্ছে না। সুতরাং একে সংক্রমণের চূড়া হিসেবে ধরে নেয়া যায়। তিনি বলেন, এখন লকডাউন চলছে। লকডাউনটা ১৪ দিন পূর্ণ হলে আশা করছি সংক্রমণ কমে আসবে। লকডাউন দেয়া না হলে সংক্রমণ আরো বাড়ত। এখন আমরা চাই সংক্রমণটা যেন আর না বাড়ে। সে জন্য কঠোর লকডাউনটা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেভাবেই কাজ হচ্ছে। তবে রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. চিন্ময় কান্তি দাস মনে করেন, সামাজিক সংক্রমণের হার নির্ণয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে যে তথ্য আছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। সে কারণে সংক্রমণ নিয়ে যেকোনো অনুমান বা ধারণা যথাযথ নাও হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। শহরে লকডাউন চললেও গ্রামে মানুষ এখনও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হারে উপজেলা পর্যায়ের মানুষের অনুপাত একেবারেই কম নয়। বরং সংখ্যাটি উদ্বেগজনক। কিন্তু গ্রামের মানুষ এখনও সচেতন হচ্ছেন না। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পৌঁছে গেছে রাজশাহীর গ্রামে গ্রামে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অচিরেই দ্রুত শুরু হতে পারে সামাজিক সংক্রমণ। গত কয়েকদিন প্রান্তিক পর্যায়ের এমন রোগী পেয়েছেন যা আগে কখনও পাননি। প্রান্তিক এসব মানুষের সংক্রমণের হার প্রায় ৩০ শতাংশ। |