<>আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি কী ও কীভাবে হয়ে থাকে!!
দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
<>যুক্তরাষ্ট্রে বেশি ভোট পেলেই যে একজন প্রার্থী সবসময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন তা নয়।
<>জনগণের সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। ইলেকটোরাল কলেজ নামে পরিচিত এক দল কর্মকর্তার পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
<>কলেজ শব্দটি বলতে একদল লোককে বোঝায় যারা নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। তাদের সবার কাজ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা।
<>প্রত্যেক চার বছর অন্তর অন্তর, নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ পরে ইলেকটোরাল কলেজের নির্বাচকরা
একত্রিত হন তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য।
<>তাত্ত্বিকভাবে বলা যায়: প্রার্থীদের মধ্যে সারা দেশে যিনি সবচেয়ে বেশী ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পান
তাকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচিত করা হয়।
<>সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রকে ৫০ টি অঙ্গরাজ্যে বিভক্ত করা হয়েছে। আবার এ অঙ্গরাজ্যে মোট ৫৩৮ টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে।
<>সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। ফলে এই রাজ্যে ইলেকটোরের সংখ্যা সর্বোচ্চ, ৫৫ টি।
<>ছোট রাজ্যগুলোতে সর্বনিম্ন ৩টি করে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট থাকে।
<>এবার আসি নির্বাচন পদ্ধতিতেঃ
<>প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন প্রার্থীরা সারা দেশে ভোটারদের কাছ থেকে যেসব ভোট পান সেগুলোকে বলা হয় পপুলার ভোট এবং যে পপুলার ভোট বেশি পাবে সে ঐ রাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে যাবে।
<>(যদি আর একটু বুজিয়ে বলি তাহলো ধরেন ফ্লোরিডা রাজ্যে ২৯ টি <span;>ইলেকটোরাল ভোট। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দুই দলেরই ২৯ জন করে ইলেকটার প্রার্থী আছেন, এখন যেদল এখানে বেশী ভোট পাবেন সেই দলের সব ইলেকটররাই বিজয়ী হবেন।তার মানি ২৯ টি সব ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন।)
<>উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফ্লোরিডা রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী যদি ৫০.১% ভোট পান, তাহলে ওই রাজ্যের ২৯টি ইলেকটোরাল ভোট তাদের পকেটেই যাবে।
<>মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে
>মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৩৮টি, এর অর্ধেক ২৬৯ এবং জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার জন্যে আরো একটি ভোট এভাবেই ২৭০টি ভোট পেতে হবে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১১