সময় নিউজ বিডিঃ  জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার যমুনার জেগে ওঠা দুর্গম বালুচরে জুয়ার আসরে তিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর তিন জুয়ারি নিখোঁজ হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০জন।

ঘটনার প্রায় ২ দিন পর আজ ২৯ নভেম্বর, শনিবার খবর পেয়ে পুলিশ ও ডুবুরি দল সারাদিন যমুনা নদীর ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। কিন্তু কারো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের চর বাশুরিয়া এলাকার যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চরে গত ২৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন—সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বালিয়ামেন্দা গ্রামের সোহেল মিয়া (৩৫) ও টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার চর রামাইল গ্রামের সজিব (৩৫)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নে চর বাশুরিয়া এলাকায় গভীর যমুনায় জেগে উঠা চরে দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চলে আসছিল। জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক জুয়ারি সেখানে জুয়ার আসর বসাতো। দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাজিতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার লেনদেন হতো।

জুয়ার আসরে আধিপত্য বিস্তার ও টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুয়ারিদের পৃথক তিনটি গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে।  সংঘর্ষে প্রায় ১০ জুয়ারি আহত হয়।

এদের মধ্যে তিন জুয়ারি আত্মরক্ষায় নদীতে লাফ দেয়। যমুনার গভীর পানিতে নিখোঁজ হয় তারা। এরা হলেন—সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের ছানোয়ার হোসেন ছানু (৪০), টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান খান (৪৫) ও ভুয়াপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের ফজল মিয়া (৪০)।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিখোঁজ তিন জুয়ারির পরিবার পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি করে।

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আজ  শনিবার সকাল থেকে ঘটনাস্থল ও নদীতে অভিযান শুরু করেন।

এ ব্যাপারে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক বলেন, ‘জুয়ার আসর চালানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান পেতে পুলিশ কাজ করছে। আহত ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে ঘটনার সার্বিক তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।