কলাপাড়ায় গভীর রাতে গৃহবধুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা।
মাসুুম বিল্লাহ কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ
|
নিউজ ডেস্কঃ কলাপাড়ায় এক গৃহবধুকে (২৬) শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে ওই ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই গৃহবধু তার তিন মাসের সন্তানকে নিয়ে কলাপাড়া হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর স্বামী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। গতকাল রাতে তিনি তার বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। রাত একটার দিকে ওই এলাকার লালন, জাহাঙ্গীর ফারাজী ও মামুন হাওলাদার নামের তিন যুবক ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তিনি ও তার স্বামী নৌকার সমর্থন করায় ওই গৃহবধুর শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় তাকে মারধরও করা হয়। এছাড়া এসময় সোহাগ ফরাজী, নিজাম ফরাজী ও আলমগীর ফরাজী নামের আরও ৩ যুবক তাদের ঘরের আলমীরা ভেঙে স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ওই গৃহবধুর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। গহবধু যন্ত্রনাকাতর শরীর নিয়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে জানান, নৌকার সমর্থন করাই কি তাদের অপরাধ। বর্তমানে তার স্বামী ভুয়া মামলায় জেলে রয়েছে। তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে না আসলে বড় অঘটন ঘটে যেতো। টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা (সাবেক চেয়ারম্যান) প্রার্থী সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু জানান, বর্তমানে আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ওই গৃহবধুর স্বামীকে ১৫ দিন আগে একটি ভুয়া মামলায় ফাসিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ গভীর রাতে ওই গৃহবধুকে বাড়িতে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়েছে। তাকে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে ওই গৃহবধু তার তিন মাসের বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া কয়েকদিন আগে নৌকার কর্মী মনির বয়াতী নামের এক কৃষকের জ্যান্ত গুরুর পা ও মাথা কেটে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক লতিফ মাতুব্বরের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। এসব অপকর্ম যারা করেছে তার স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজন মোল্লার অনুসারী। টিয়াখালী ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সুজন মোল্লা জানান, বর্তমানে আমি বেশ কিছুদিন যাবত ঢাকায় রয়েছি। যদি কেউ অন্যায় করে তার বিচার হওয়া উচিত। কলাপাড়া থানার ওসি মো: জসিম জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে। ### |