কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্যানিটেশন উদ্যেক্তা বিউটি বেগম এর পণ্য প্রদর্শনীতে সিমাভী টিম নেপাল  ও নেদারল্যান্ড টিমের চার সদস্য ওয়াস উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেছেন।

কলাপাড়া পৌরসভার নাচনাপাড়া এলাকায় বুধবার বিকেলে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থা ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের সিমাভী ও নেপাল টিমের প্রতিনিধিদল বে-সরকারী এনজিও হোপ ফর দি পুওরেষ্ট (এইচপি) এর ওয়াশ এসডিজি ওয়াই বাংলাদেশ এ প্রকল্পের কলাপাড়া পৌরসভার কর্ম-এলাকা পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন নেদাল্যান্ডস এর সিলমা হিলগারাস ও নেপালের মিংমা সিরোপা ও প্রগতি বর্জাচারিয়া এবং কারমাট শুভেডি।

পরিদর্শন কালে বাংলাদেশ সিমাভী’র কান্টি কো-অর্ডিনেটর অলক কুমার মজুমদার , বাংলাদেশ সিমাভীর মেল এডভাইজার সাবিহা সিদ্দিকি, এইচপি- আশার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো.ওয়াহিদুর রহমান, কলাপাড়া পৌরসভার  ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, হোপ ফর দি পুওরেষ্ট (এইচপি) এর ট্রেনিং অফিসার  মো. শরিফুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা ওয়াশ এসডিজি ওয়াই বাংলাদেশ সাব-প্রোগ্রাম ইম্পিলিমেন্টেশন ফেইজ এর ওয়াশ (স্যানিটেশন, পানি ,ন্যাপকিন ) উদ্যোক্তারা  তাদের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কিভাবে অর্থের যোগান আসে, কোথায়  থেকে  লোন গ্রহন করে  সে বিষয়ে  আলোচনা করে। এছাড়াও উদ্যোক্তারা সহজে অর্থ  গ্রহণ ও পৌরসভার সাথে   উদ্যোক্তাদের সংযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আশা’র মাধ্যমে লোনের ব্যবস্থা আছে  এমন সব  বিষয়ে অবগত হন।

কলাপাড়া পৌরসভার ব্যাটেলিয়ন ক্যাম্প সংলগ্ন রোড নাচনাপাড়া এলাকার বিউটি স্যানিটারী ট্রেডার্স এর  প্রোপাইটর  উদ্যোক্তা বিউটি বেগমের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং  ওয়াশ এসডিজি ওয়াই বাংলাদেশ এ প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলেন এবং প্রতিনিধিদলের সামনে হোপ ফর দি পুওরেষ্ট (এইচপি)  স্যানিটেশন সহ সকল উদ্যোক্তাদের তথ্য উপস্থাপন করেন এবং  প্রকল্পের কার্যক্রম অবহিত করেন  ।

সিমাভী’র  অর্থায়নে হোপ ফর দি পুওরেষ্ট (এইচপি) এই প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরসভার  স্থানীয়  জনগোষ্ঠীর ওয়াশ উদ্যোক্তা সৃষ্টি , পণ্যর চাহিদা বৃদ্ধি ও অর্থের  যোগান  (লোন) বিষয়ক তথ্য আদান প্রদান ও  সচেতনতা বৃদ্ধি করছে ।

উল্লেখ্য এইচপি আশা নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থা সীমাভীর অর্থায়নে বরগুনা ,সাতক্ষীরা ও কলাপাড়া পৌরসভায় ওয়াস বিষয়ক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যা বাংলাদেশ সরকারের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন অভিষ্ঠ-২০৩০ অর্জনে অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।