কলাপাড়ায় রাস্তা কেটে চাষাবাদ, বিপাকে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ।।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া
|
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। কলাপাড়ায় আদালতের নির্দেশকে উপেক্ষা করে মানুষ চলাচলের রাস্তা কেটে চাষাবাদ করায় বিপাকে পড়েছে খাজুরা গ্রামের স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। এলাকার মানুষ রাস্তার অভাবে বাড়ি থেকে বেড় হতে পারছে না। স্কুলে যেতে পারছে না স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরাও। এ নিয়ে অসহায় মানুষজন জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েছে। সর্বশেষ আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত রাস্তা কেটে চাষাবাদ না করার জন্য নিদের্শনা দেয়। তাও আমলে নেয়নি ভুলে বিএস জরিপে অন্তর্ভূক্ত জমির দাবিদার সেরাজ তালুকদারসহ তার স্বজনরা।
জানা যায় কলাপাড়া উপজেলার জে এল ৩৪ নং লতাচাপলী মৌজার হাল ১৫৯৫ নং খতিয়ানের হাল ৪১৩৪/৪১৭৩ নং দাগের এক একর ৫০ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে মালিক আবুল কাশেম ব্যাপারী। যার দলিল নং ৫০৩৩, তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০০৫। কিন্তু বিএস জরিপে জমির মালিক আবুল কাশেম ব্যাপারীর নামে বি এস ৫৭৮ নং খতিয়ানে মাত্র এক একর চল্লিশ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়। বাকি ১০ শতাংশ জমি ভূল বসত পার্শ্ববর্তী জমির মালিক সেরাজ তালুকদারের নামে রেকর্ড হয়। এই ভূল বসত জমির রেকর্ড হওয়ায় সেরাজ তালুকদার ওই জমির মালিকানা দাবি করে চাষাবাদ করার উদ্যোগ গ্রহন করে।
অপরদিকে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে খাজুরা গ্রামের স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার-হাজার মানুষ।
খাজুরা গ্রামের হাজেরা বেগম (৪০)বেগম বলেন, মাটির রাস্তা হলেও এ রাস্তাটি গ্রামবাসী ব্যবহার করছে দীর্ঘ দিন ধরে। খাজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। রাস্তাটি কেটে ফেলায় আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে পারছে না।
এ ব্যাপারে সেরাজ তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো.আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, চলাচলের রাস্তা কেটে চাষাবাদ করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখবো।
|