পটুয়াখালীতে বিএনপির কমিটি নিয়ে পদবঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন।
মোঃ ইকবাল হোসেন নিরব ভোলা জেলা প্রতিনিধি।
|
নিউজ ডেস্কঃ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙকমিটি ঘোষণার পর প্রকাশ্যে এসেছে দলিয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ণ না করার দাবি তুলছেন দাবিদাররা। এতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন পদধারীও। তাদের অভিযোগ, কমিটিতে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত এবং ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ণ করা হয়নি। অর্থনৈতিক সুবিধায় মিলেছে বর্তমান কমিটির পদ। কমিটিতে জায়গা পেয়েছে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির লোকেরাও, করা হয়েছে স্বজনপ্রীতি,পদ পেয়েছে প্রবাসীও। এ ধরণের নানা অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির পদ দাবিদাররা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বাহেরচর বাজারে অবস্থিত আব্বাস হাওলাদারের বাসভবনের নিচতলায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. কবির হোসেন তালুকদার। কমিটির এসব নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, সদ্য ঘোষিত উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী বলেন, পটুয়াখালী-৪ আসনের নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন ভাইয়ের সাথে আলোচনা করে ইউনিয়ন কমিটিগুলো হয়েছে। পরে সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিল হয়েছে। আমি সভাপতি পদে ২৪ ভোট পেয়েছি আর কবির তালুকদার ১১ ভোট পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলা কমিটির গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। প্রটোকলে নিয়ম আছে সাবেক সভাপতিকে ১ নম্বর সদস্য করার। আমরা সেটাই করেছি। কমিটি করতে গিয়ে এক ব্যক্তি দুই পদে আছে। ইউনিয়নে আছে, উপজেলায়ও আছে। ইউনিয়ন কমিটির লোক পদাধিকার বলে উপজেলায় এমনিতেই সদস্য পদ পাবে। একটি কমিটির গ্রহণযোগ্যতার জন্য ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ লোক কমিটিতে রাখা প্রয়োজন। যাদের কথায় ভোট আসবে। আমরা সেই ধরণের লোক নিয়েছি সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন কমিটির সঙ্গে আলাপ করে। কমিটি জেলায় উপস্থাপন করার আগে এই আসনের নেতা মোশাররফ ভাইকে বারবার কমিটি দেখিয়েছি। জেলার সাথেও আলাপ করে কমিটি উপস্থাপনা করেছি। আমাদের সাবেক সভাপতি কবির তালুকদার তার কর্মদক্ষতার অভাবে পদ হারিয়েছেন। সরকার বিরোধী কর্মসূচিগুলোতে তিনি অংশ নেননি। তাই নেতাকর্মী থেকে তিনি জনবিচ্ছিন্ন হয়েছেন। |