লক্ষ্মীপুরে শিশু ধর্ষণ ঘটনার শালিস করতে গিয়ে তিনজন জেল হাজতে
এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
|
সময় নিউজ বিডিঃ লক্ষ্মীপুরে উত্তর হামছাদী এলাকায় ৪র্থ শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনার ধামা-চাপা ও শালিক করার অপরাধে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল বাতেনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার(২১ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার আলীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অন্য দুই আসামীরা হচ্ছে জাহিদুল আলম ও ছাদেকুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার রাতে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মসজিদ ভিত্তিক গনশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক সাদ্দাম হোসেনসহ ৯জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার আলীপুর এলাকায় মসজিদ ভিত্তিক গনশিক্ষা কেন্দ্রে ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ালেখা করছে ওই শিশু। প্রতিদিনের মত ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে গনশিক্ষা কেন্দ্রে পড়তে আসে শিশু। এসময় একা পেয়ে মসজিদ ভিত্তিক গনশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন শিশুটিকে ধর্ষন করে পালিয়ে যায় শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন। পরে শিশুকে উদ্ধার করে তার পরিবার বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল বাতেনসহ কয়েকজন মিলে ঘটনাটিকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া শিশুর পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এরপর এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর শুক্রবার রাতে শিশুর বাবা থানায় এসে মামলা দায়ের করে।
অভিযোগ রয়েছে, সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল বাতেন প্রভাব বিস্তার করে ঘটনাটি অন্যখাতে নেয়ার জন্য কাজ করছিলেন। সে অনুযায়ী ধর্ষক সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত ওই শিশুর বাবা।
পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশুকে ধর্ষনের ঘটনার ধামা-চাপা দেয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামীসহ অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
|