মো মাসুম বিল্লাহ, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,
|
নিউজ ডেস্ক ঃ জান্নাতুল শিফা এবছর পটুয়াখালীর কলাপাড়া মহিলা কলেজের এইচ এস সি পরিক্ষাথর্ী। হতদরিদ্র তার পিতা কামাল তালুকদার বেশকয়েক কদিন আগে স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীূন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে শুরু হয় এইচ এস সি পরিক্ষা। কলেজের শিক্ষকরা বলেছেন প্রবেশ পত্রের জন্য এক হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু এ টাকার কথা শুনে হিমশিম খায় ওই শিক্ষাথর্ী। পরে পরীক্ষার আগ মূহুর্তে সে প্রবেশ পত্রের জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে এসে কান্না জুড়ে দেয়। এক পর্যায়ে কলেজের অধ্যক্ষ এসে তাকে আশ্বাস দিলে পরে ওই শিক্ষাথর্ী কলেজ থেকে কোন প্রকার টাকা ছাড়াই প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করে। সংস্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, এ বছর এ কলেজ থেকে ১৫৮ জন এইচ এসসি শিক্ষাথর্ী পরিক্ষা দিচ্ছে। এদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রবেশ ফি বাদব ১ হাজার টাকা ও বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা নিধার্রন করে কলেজ কতৃপক্ষ। শিক্ষকদের অভ্যন্তরিন কোন্দল ও টাকা উত্তোলনের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানতে পারেন এবং তারই নির্দেশনায় কলেজ কতৃপক্ষ শিক্ষাথর্ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রবেশ ফি বাবদ উত্তোলনকৃত টাকা ফিরিয়ে দেয়া হয়। একাধিক শিক্ষাথর্ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কাছে প্রবেশ পত্রের জন্য ১০০০ টাকা ও বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা কলেজের স্যারদের কাছে দেয়া হয়েছে। পরে ওই টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে। কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন ফারুক গনমাধ্যমকে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সার্টিফিকেট ও প্রশংসাপত্র বাবদ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা নেয়া হয় যার রশিদ সকল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়, এ রশিদ বইয়ের মুড়ি কতিপয় শিক্ষক চুরি করে নিয়ে যায় বলে অধ্যক্ষ জানান এবং কলেজের সকল উত্তোলিত টাকা সাথে সাথে কলেজের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের তিনি আরো জানান, কতিপয় শিক্ষকদের অহেতুক দস্যুপনার কারনে কলেজের সুনাম এখন নষ্ট হওয়ার পথে এবং তাদের এ চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান। |