শিক্ষামন্ত্রীকে হেলিকপ্টারে সিলেট যেতে বললেন আনু মুহাম্মদ।
|
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে হেলিকপ্টারে যেতে বলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। সেই অনশনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাঈদ ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সামিনা লুৎফা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তানজিম উদ্দিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের জোবাইদা নাসরিন, অর্থনীতি বিভাগের রুশাদ ফরিদি, ইংরেজি বিভাগের তাসনীম সিরাজ মাহবুব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কাজলী সেহরীন প্রমুখ। অনশন কর্মসূচিতে আলোচনা অংশের সঞ্চালনা করেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। আমরা যে সময়ে রাজধানীর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যানজটের কারণে যেতে পারব না, মন্ত্রীর সুযোগ রয়েছে তার চেয়ে কম সময়ে প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে করে সিলেটে যাওয়ার। আনু মুহাম্মদ বলেন, সিলেটে গিয়ে কথা বলা নিয়ে দীর্ঘসূত্রতায় সরকারের আরেকটি উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীরা যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর তারা অধৈর্য হয়ে কোনো কিছু করে বসলে, তা কেন্দ্র করে সরকার তাদের দমন করবে। কিন্তু সরকার তরুণদের চেনে না। তিনি বলেন, শাহজালালের উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে অন্যান্য উপাচার্য পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি বিষয়টি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে সেটি আমাদের জন্য ভালো খবর। সরকারের উচিত হবে, উপাচার্যরা পদত্যাগ করার পরপর একটি তদন্ত কমিটি করা। তদন্তের মাধ্যমে তারা কী করেছেন, তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। জাহাঙ্গীরনগরের এ শিক্ষক বলেন, আমরা এসেছি শিক্ষক সমাজকে বড় কলঙ্ক থেকে বাঁচাতে। ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষায় সিলেটে যে ঘটনা ঘটেছে, তা এখন গোটা শিক্ষকসমাজের সম্মান রক্ষায় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। এর মূল কারণ, কীভাবে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে, তা আমরা সবাই জানি। তিনি আরও বলেন, যারা সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখাতে পারবেন, তাদের যোগ্যতা তত বেশি। সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রসংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া এখন উপাচার্যের কাজ। সাঈদ ফেরদৌস বলেন, নতজানু হওয়ার প্রবণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সিলেটের শিক্ষার্থীরা স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠেছেন। তাদের পেছনে মানুষের নৈতিক সমর্থন রয়েছে। আমাদের প্রয়োজন রয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর। সামিনা লুৎফা বলেন, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। তিনি এ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। এর আগে রোববার (২৩ জানুয়ারি) শাবিপ্রবি উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে ডাবল মাস্ক পরে সিলেটে যাওয়ার পরামর্শ দেন সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। |