পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান।
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
|
নিউজ ডেস্কঃ পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ডজন খানেক নেতাদের প্রচার প্রচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জনপদ । দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দারস্থ হচ্ছেন সবাই ।
। গুনঞ্জন চলছে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারেন দু’একজন। এবং দলীয় মনোনয়ন এর বাহিরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন কর্মী বান্ধব বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট হাফিজুর রহমান।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন , জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম আলমগীর , জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র এডভোকেট মোঃ সুলতান মৃধা, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সিকদার, জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ তসলিম সিকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ শাহীন মিয়া সহ বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাফিজুর রহমানের অংশ গ্রহনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। কদর বেড়েছে তৃনমূল নেতাদের।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সদস্য। দলের প্রয়োজনে কখনও রাজপথ ছাড়িনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করি বলে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছি। শুধু তাই নয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার গোটা পরিবার।
তাছাড়া পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য থাকাকালীন সময়ে আস্থার সাথে কাজ করেছি এবং তৃণমূল নেতাদের পাশে থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছি। তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আগামী ১৭ অক্টোবরের নির্বাচনে ভোটারদের মূল্যবাল ভোটে আমাকে জয়ী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
পটুয়াখালী নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবারে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৯০ জন। যার মধ্যে পাঁচটি পৌরসভার মেয়র রয়েছে ৫ জন, কাউন্সিলর রয়েছে ৪৫ জন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রয়েছে ৮জন, এবং ভাইস- চেয়ারম্যান রয়েছে ১৬। তাছাড়া জেলার ৭৭ টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ ৬৯৩ টি রয়েছে ইউপি সদস্য এবং সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আছে ২৩১ জন।
সূত্রে আরো জানাযায়, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ। মনোনয়ন বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নে বিরুদ্ধে আপিলের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ভোট গ্রহন ১৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ।।
|